সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর আগে বারবার ভুল করেছেন। কখনও মহাভারত, কখনও গৌতম বুদ্ধ, কখনও বিশ্বসুন্দরী। বিপ্লব দেবের বেঁফাস মন্তব্যের ইয়ত্তা নেই। রবিবার যখন রুদ্রসাগর ঝিলের উদ্বোধন করতে গিয়ে হাঁস নিয়ে মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তখনও রীতিমতো হাসির রোল উঠেছিল নেটদুনিয়ায়। হাঁস থেকে নাকি অক্সিজেন তৈরি হয়, বিপ্লবের এই তত্ত্ব কিছুতেই মানতে পারছিলেন না নেটিজেনরা। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, আশ্চর্যজনক হলেও এক্ষেত্রে পুরোপুরি ভুল বলেননি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
[‘হাঁসের সাঁতারে অক্সিজেন বাড়ে’, ফের হাসির খোরাক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী]
রবিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাঁস জলাশয়ে খেলা করলে অক্সিজেন বাড়ে, মাছের খাবারও উৎপন্ন হয়। মন্তব্যের পরই খোরাকে পরিণত হন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, বিপ্লব দেবের দুটি দাবিই আংশিকভাবে হলেও সত্যি। জলাশয়ে মাছ চাষের ক্ষেত্রে অন্য প্রাণী যেমন হাঁস, মুরগীর বর্জ্য পদার্থ, এমনকি গৃহপালিত পশুদের স্নান করানো বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিকে সুসংহত মৎস্যচাষ বলা হয়। মাছ চাষের জলাশয়ে মাছ খেলা করার অনেকগুলি সুবিধা রয়েছে। জলাশয়ে হাঁসের বর্জ্যপদার্থ মাছের খাবার তথা প্লাংকটনের বংশবৃদ্ধির গতি বাড়ায় অর্থাৎ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ বাড়ায়। এই প্ল্যাংকটনেই বদ্ধ জলাশয়ে ছোট মাছের প্রধান খাবার। এগুলি খেয়েই বৃদ্ধি পায় মৎস্যকূল।
[ভারতীয় রেলে মধুবনী শিল্পের ছোঁয়া, প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাষ্ট্রসংঘ]
তাছাড়া, মাছ জলের দ্রবীভূত অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে। আর এই দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ সরাসরি পুকুরের পৃষ্ঠতলের আয়তনের সমানুপাতিক। হাঁসের যখন সাঁতার কাটে তখন জলের উপরে ঢেউ-এর সৃষ্টি হয়। ফলে, পুকুর বা ঝিলের পৃষ্ঠতলের আয়তন বাড়ে, স্বাভাবিকভাবেই দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে। তাছাড়া, ডানার ঝাপটানিতে জলের ভিতরে বাতাসও প্রবেশ করে কিছু পরিমাণ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এর আগে একাধিকবার ভুল মন্তব্য করলেও এক্ষেত্রে কার্যত পুরোপুরিই ঠিক বিপ্লব-বাদ। ত্রিপুরা বিজেপির দাবি, বিরোধীরা অকারণে বিপ্লব দেবকে আক্রমণ শানাচ্ছেন।
The post আশ্চর্য হলেও সত্যি! বিপ্লব দেবের হাঁস-তত্ত্ব পুরোপুরি ভুল নয়, বলছেন বিজ্ঞানীরা appeared first on Sangbad Pratidin.