সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৬ আগস্ট মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার রাজকোট দূর্গে শিবাজি মূর্তি ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনার পর মূর্তি গড়ায় একাধিক অনিয়ম তথা দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। বুধবার ৩৫ ফুটের ওই মূর্তির ভাস্করকে গ্রেপ্তার করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। ভাস্কর জয়দীপ আপ্তের সংস্থাই তৈরি করেছিল মূর্তিটি। যদিও ওই সংস্থার এই বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
নমাস আগে শিবাজী মূর্তিটিকে ঘটা করে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৬ আগস্ট দুপুর ১টা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেটি। মারাঠাদের আবেগ এভাবে ভূলুণ্ঠিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক চরম আকার নেয়। ঘটনায় মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকারের দিকে আঙুল তোলে বিরোধী শিবির। প্রাথমিক তদন্তে দাবি করা হয়, মরচে পড়া স্টিল ও নাটবল্টু ব্যবহার করা হয়েছিল মূর্তি তৈরিতে। এরই মাঝে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৈধ সীমার চেয়েও অন্তত ছ’গুণ উঁচু রাখা হয়েছিল মূর্তির উচ্চতা। প্রাথমিকভাবে ৬ ফুটের মাটির মূর্তি তৈরির অনুমতি দেওয়া হলেও শেষে ৩৫ ফুটের স্টিলের মূর্তি গড়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে অবৈধ নির্মাণের জেরেই কি এই দুর্ঘটনা?
[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের মধ্যে NIA আধিকারিকের মেয়ের রহস্যমৃত্যু! চাঞ্চল্য যোগীরাজ্যে]
বুধবার আপ্তের গ্রেপ্তারির পর বিজেপি নেতা প্রবীণ দারেকর বলেন, "যারা আমাদের সরকারের সমালোচনা করেছিল তাদের এখন মুখ বন্ধ করতে হবে। এটা সত্য যে জয়দীপ আপ্তেকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ একটু বেশি সময় নিয়েছে। আমরা গ্রেপ্তারের জন্য কোনও কৃতিত্ব নিচ্ছি না, তবে পুলিশ তাদের কাজ করেছে।" যদিও অত সহজে বিতর্ক থামছে না। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্র কংগ্রেস দাবি করেছে, মূর্তির জন্য ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। অথচ বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যয় হয়েছে মাত্র দেড় কোটি টাকা। কার্যত বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করা হয়েছে, বাকি টাকা কোথায় গেল?