স্টাফ রিপোর্টার: আগামী বছরের গোড়াতেই শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২৩তম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সি ফুড শো (Sea Food Show)। ১৫—১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে এই উৎসব হবে। সি ফুড সেক্টরে ভারতের অগ্রগতি মেলে ধরার লক্ষ্যে, মেরিন প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটি (এমপিইডিএ) এবং সি ফুড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (এসইএআই)-এর যৌথ উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে। এই কথা ঘোষণা করেছেন এমপিইডিএ—র চেয়ারম্যান ডঃ কে এন রাঘবন এবং এসইএআই—র সর্বভারতীয় সভাপতি জগদীশ ফোফানডি।
ডঃ রাঘবন জানিয়েছেন, সি ফুড সেক্টরের এই অনুষ্ঠান কলকাতার বিশ্ব বাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে আয়োজিত হবে। ভারতের যে ব্যবসায়ীরা দেশের সামুদ্রিক পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেন এবং বিদেশে যাঁরা সেগুলি আমদানি করেন, তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য এটি একটি মঞ্চ হিসাবে কাজ করবে। এখানে ম্যানুফ্যাকচারার এবং সাপ্লায়ার উভয়েই তাঁদের পণ্য সকলের সামনে তুলে ধরার দারুণ সুযোগ পাবেন এবং তাঁদের প্রসেসিং মেশিনারি, প্যাকেজিং সিস্টেম, প্রসেসিং করার উপাদান সামগ্রীর ডিলাররা ব্যবসায়িক চুক্তি করতে পারবেন। ৩৫০ দোকান থাকবে এবার। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই উৎসব কলকাতায় হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কেন ছুরিবিদ্ধ হলেন সলমন রুশদি, হামলাকারী সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ]
সি ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় চিংড়ি রপ্তানি রাজ্যে কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে সে প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। বলেন, “চিংড়ি রপ্তানি গত আট বছরে ছয় গুণ বেড়েছে। এই শিল্প বাড়ানোর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিচ্ছেন। এখানে তিন লক্ষ পর্যন্ত কর্মসংস্থান হতে পারে। মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ রপ্তানিতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। আমেরিকা থেকে লোক আসবে।” একই সঙ্গে চিংড়িতে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধে সরকার যে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সে কথাও এদিন শোনা যায় মঞ্চে থাকা আধিকারিকদের কথায়। এমনিতেই চিংড়ি এবং অন্যান্য জলজ পণ্যে ২০ রকম অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ রয়েছে দেশে। তবু নজর এড়িয়ে চলছে তার ব্যবহার। তা বন্ধেই রাজ্যের তরফে জেলাস্তরে টাস্ক ফোর্স গড়ে দিয়েছে মৎস্য দপ্তর। তারা নজরদারি চালাচ্ছে। কমিটির সদস্যরা যখন খুশি হানা দিতে পারবেন দোকানে।
এসইএআই—র কেন্দ্রীয় সভাপতি জগদীশ ফোফানডি এদিন বলেন, “আইআইএসএস ২০২৩ মূলত দেশের সি ফুড প্রসেসিং সেক্টরের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নতি মেলে ধরার প্রচেষ্টা করবে। ফিশিং এবং ফার্মিং সেক্টরের সহযোগিতায় ভারতীয় সি ফুড প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। সেগুলিই সেখানে দেখা যাবে।” সাংবাদিক বৈঠকে এমপিইডিএর ডিরেক্টর ডঃ এম কার্তিকেয়ন, সেক্রেটারি শ্রী কে এস প্রদীপও উপস্থিত ছিলেন।