সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর স্টার জলসার পর্দায় শুরু হয়েছিল ‘আমি সিরাজের বেগম’ (Ami Sirajer Begum)। বাংলা টেলিভিশনের হার্টথ্রব শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sean Banerjee) প্রথম ধারাবাহিক। বিপরীতে নায়িকা পল্লবী দে (Pallavi Dey)। রবিবার যাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য টলিপাড়ায়। প্রথম নায়িকার মৃত্যুর খবরে শোকাহত শন। এটা তাঁর কাছে বড় ধাক্কা বলেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে জানালেন অভিনেতা।
ফোনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শন বলেন, “জানি না কী বলব, কারণ আমি খবরটা শুনে শকড হয়ে গিয়েছি। ভাবতে পারিনি। এটা আমার কাছে বড় ধাক্কা। আর আমি সিরাজের বেগম শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেরকম টাচে ছিলাম না। আমি জানি না ওর সঙ্গে কী হয়েছে। আমি শুনেছিলাম নতুন প্রজেক্ট করছে। আমার প্রথম সিরিয়াল ছিল ‘আমি সিরাজের বেগম’। সহ-অভিনেত্রী ছিল পল্লবী খুবই ভাল ছিল। পুরো জার্নিটা খুবই ভাল ছিল।” পল্লবীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানসী সেনগুপ্তও। ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দু’জন। প্রত্যেক ইউনিটে প্রতি মাসে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হোক, এমনই আরজি শ্রীলেখা মিত্রর।
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি, নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রী শ্রীলেখা]
সেটে এতদিন কাজ করেছেন। মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন পল্লবী? এই প্রশ্নের উত্তরে শন বলেন, “খুবই ভাল ছিল, মিষ্টি একটা মেয়ে। অত্যন্ত পেশাদার ছিল। আমাদের প্রত্যেক অভিনেতা অত্যন্ত ভাল ছিল। সিরাজের টোটাল জার্নিটা খুবই ভাল ছিল। ”
গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকার বহুতলে থাকতেন পল্লবী। জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক ধরে ধরে সাগ্নিক নামের এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। দু’জনে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। শোনা গিয়েছে, শনিবার রাতে পল্লবী ও তাঁর প্রেমিক আলাদা আলাদা বেডরুমে শুতে যান। বেডরুমের কমন দরজা। সকালে দরজা খুলে সিগারেট খেতে যান সাগ্নিক। মিনিট দশ পরে ফিরে আসেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পান।বেল টিপে সাড়া পাননি। ফাঁক দিয়ে দেখেন ওই অভিনেত্রীর দেহ ঝুলছে। জোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা ভাঙেন সাগ্নিক। ভিতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে ঝুলছে অভিনেত্রীর দেহ। কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে ইতিমধ্যেই সাগ্নিকের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।