সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে আতিক-আশরফকে হত্যার পর উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা সমালোচনা করেছে, যোগীর শাসনে গুন্ডারাজ চলছে রাজ্যে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার আতিকের অন্যতম আইনজীবীর বাড়ির বাইরে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। ওই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার জানা না গেলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিকে আতিকের স্ত্রীর খোঁজে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে চলছে তল্লাশি। তল্লাশি চলছে রাজ্যের বাইরেও। স্বামীর এনকাউন্টারের পরও প্রকাশ্যে আসেননি তিনি।
আতিকের আইনজীবীর বাড়ির বাইরে বোমাবাজির ঘটনায় দ্রুত এলাকায় পৌঁছেছিল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই আইনজীবীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়েছে এমনটা নয়। দুই অপরাধী গ্যাংয়ের মধ্যে লড়াইয়ের কারণেই এই হামলা।
[আরও পড়ুন: ৩০ বিরোধী বিধায়ক-সহ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অজিত পওয়ার? মুখ খুললেন NCP নেতা]
এদিকে স্বামী আতিকের মৃত্যুর পর দিন তিনেক কাটলেও খোঁজ নেই স্ত্রী শায়েস্তা পারভিনের। পাশাপাশি উমেশ পাল খুনের তিন অভিযুক্ত শ্যুটারও পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। শায়েস্তার সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে যোগীরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। এমনকী অন্য রাজ্যেও। গ্রেটার নয়ডা, মীরাট, দিল্লি, ওখলা এমনকী বাংলাতেও নাকি তল্লাশি চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান না পেলেও শায়েস্তার ঘনিষ্ঠ ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা চিকিৎসক ও শায়েস্তার বহু আত্মীয়ও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যে কোনও ভাবে তাঁদের সূত্রে শায়েস্তা পর্যন্ত পৌঁছতে মরিয়া পুলিশ।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে আতিক-আশরফের আইনজীবীর বিস্ফোরক দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আইনজীবীর বিজয় মিশ্র দাবি করেছেন, “মক্কেলদের যখন প্রয়াগরাজ থেকে বরেলিতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সময় পুলিশ লাইনে নিয়ে গিয়ে এক পুলিশকর্তা আশরফকে হুমকি দেন, এ যাত্রায় বেঁচে গেলি, কিন্তু জেল থেকে বেরোনোর ১৫ দিনের মধ্যে খতম করে দেব।” কোন পুলিশকর্তা এই হুমকি দিয়েছিলেন তা জানাননি আশরফ। কিন্তু তাঁর এহেন দাবি ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।