রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কোটি টাকার রাজ্য সম্মলনের আয়োজন করে গোড়া থেকেই সমালোচনার শিকার হয়েছে লাল পার্টি। শূন্যে নেমে যাওয়া ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার করতে রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সিপিএম। ধর্মে মতি ফিরেছে কমরেডদের! ডানকুনির কোল কমপ্লেক্সের শান্তিমঞ্চের সজ্জায় তাই দেখা গেল শ্রীরামকৃষ্ণ, তারকেশ্বর মন্দির। নজর কেড়েছে তাঁদের ভোজের বহরও। মাছ-মাংস তো বটেই, হুগলির সমস্ত বিখ্যাত মিষ্টির স্বাদ গ্রহণ করেছে কমরেডকুল। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনও রসনাতৃপ্তিতে ভাটা পড়ল না। এদিন আঞ্চলিকতার ছোঁয়া দেখা গেল মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে। বিউলি ডাল, আলুপোস্ত, মাছের ঝোল খাওয়ার ফাঁকে স্বেচ্ছাসেবকদের চোখ রইল ২২ গজে ভারত-পাক যুদ্ধের দিকেও। একনজরে দেখে নিলেন স্কোর।
শান্তিমঞ্চের বাইরের মার্ক্স, লেনিনের ছবি।
শান্তিমঞ্চে সিপিএমের ২৭ তম রাজ্য সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয় সংগঠনের সদস্য সংখ্যার দ্রুত অবনতি। তার কারণ খুঁজে বের করে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করা। রবিবার বিকেলে ফিশ ফ্রাইয়ে কামড় বসিয়ে সেই আলোচনায় মন দিলেন সদস্যরা। অসুস্থতা সত্ত্বেও এদিন যোগ দিতে আসেন গৌতম দেব। তাত্ত্বিক আলোচনার মাঝেই গণসঙ্গীত শোনান পূর্ব মেদিনীপুরের সদস্য তথা গায়ক শুভেন্দু মাইতি। মহম্মদ সেলিমকে দেখা গেল বাইক চড়েই সম্মেলনস্থল থেকে হোটেলে যাতায়াত করছেন।
সম্মেলনকক্ষে শোভাবৃদ্ধি সিপিএমের নবরত্নের ছবিতে।
তবে রবিবার সম্মলন কক্ষের সজ্জায় বদল দেখা গেল। বাইরে বিদেশি, ভিতরে স্বদেশি নেতাদের ছবি। কার্ল মার্ক্স, ভ্লাদিমির লেনিন, জোসেফ স্ট্যালিনরা শোভা পাচ্ছেন বাইরে। আর আলোচনাস্থলে নবরত্নের ছবি, অর্থাৎ সিপিএমের জন্মলগ্নে ৯ জন নেতা - ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ, এ কে গোপালন, হরকিষেণ সিং সুরজিৎ, পি রামমূর্তি, পি সুন্দরাইয়া, প্রমোদ দাশগুপ্ত, জ্যোতি বসু-সহ সকলকে শ্রদ্ধা জানানো হল। রাজ্য সম্মেলন চলবে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন সিপিএমের অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট।