অভিরূপ দাস: পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার ৭৫। নেতাজি অর্ন্তধানের ৭৬। স্বাধীনতা দিবসে তিলোত্তমার রাজপথে ট্যাবলোয় হাজির থাকবেন সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose)। শ্বেতশুভ্র পর্বতচূড়ার আড়ালে চিরপরিচিত উর্দিতে দেখা যাবে দেশনায়ককে। তাঁকে স্যালুট জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি স্বাধীনতার কারিগরকেও বিশেষ সম্মান জানানোর জন্য এই ট্যাবলো। থাকবে পেল্লায় এক লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যেখানে উঁকি দিচ্ছে হাজার টাকা। সে টাকা পাবেন বাংলার ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ট্যাবলো এবার অন্যতম আকর্ষণ। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভোটে জনপ্রিয় ‘খেলা হবে’ও। ১৬ আগস্ট খেলা হবে দিবস উদযাপিত হবে রাজ্য জুড়েই।
[আরও পড়ুন: Independence Day: স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনে কলকাতায় পৌঁছল নৌসেনার রণতরী INS Kuthar]
রাত পেরোলেই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। তার উদযাপনে শুক্রবার রেড রোডের শেষ মহড়া দেখতেই বেশ ভিড়। এ বছর মোট দশটি ট্যাবলো দেখা যাবে অনুষ্ঠানে। অধিকাংশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিছু জায়গায় পেরেক ঠোকা বাকি। কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) আর কৃষক বন্ধুর ট্যাবলোয় চলছে শেষ মুহূর্তের পালিশ। বৃষ্টিতে কাজের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে রেড রোড চত্বর। কোন কোন ট্যাবলো দেখা যাবে রাজপথে? কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি কৃষকবন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে রেশন, জলস্বপ্ন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ট্যাবলো দেখা যাবে রাজপথে। জনমোহিনী যে সমস্ত প্রকল্প হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল, সেই সব কর্মসূচিই স্বাধীনতা দিবসে এগিয়ে চলবে চাকায় চাকায়।
রেড রোডে (Red Road) স্বাধীনতা দিবসের মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। শুক্রবারই হয়ে গিয়েছে মূল অনুষ্ঠানের আগে ফাইনাল মহড়া। অন্যান্য বছরের থেকে এবারের অনুষ্ঠান একটু আলাদা। করোনা (Coronavirus) আবহে সকলের মুখে মাস্ক, প্রত্যেকের মাঝে নিরাপদ দূরত্ব আবশ্যিক।
স্বাধীনতা দিবসে ট্যাবলো প্রদর্শন করবে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন বিভাগও। বাউল গানের থিমে ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে তথ্য-সংস্কৃতি দফতর থেকে। এক একটি ট্যাবলো তৈরিতে খরচ হয়েছে আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা। বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও তুলে ধরা হবে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের ট্যাবলোর মাধ্যমে। হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান বিভিন্ন ধর্মের ফাইবার মডেল চলে এসেছে ইতিমধ্যেই।
১৬ আগস্ট থেকে এ রাজ্যে চালু হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ওই দিন থেকেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প পুনরায় চালু হয়ে যাচ্ছে। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেখানেই পাওয়া যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদনপত্র। যাঁরা রেড রোডের কুচকাওয়াজ দেখতে আসবেন সরকারি প্রকল্প সম্বন্ধে তাঁদের জানাতে সবটাই লেখা থাকবে ট্যাবলোর গায়ে।