সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-চিন সংঘর্ষের ইতিহাসে অন্যতম রক্তাক্ত অধ্যায় গালওয়ান উপত্যকা (Galwan Valley)। জুন মাসে লালফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। এরপরই কড়া পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। দেশে শয়ে শয়ে চিনা পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়। গোটা দেশ উত্তাল হয় ‘বয়কট চায়না’ স্লোগানে। চিনা পণ্য বাতিল ও বিক্রি বন্ধ করার ডাক দিয়ে পথে নামে বিভিন্ন সংগঠনের মানুষ। কিন্তু সে স্লোগান যে মুখের কথাতেই রয়ে গিয়েছে, তার প্রমাণ মিলল মোবাইল ফোনের বিক্রিতে। পরিসংখ্যান বলছে, গালওয়ান কাণ্ডের পরও চিনা ফোনের বিক্রি বেড়েছে লাফিয়ে।
ভারতের যত কোটি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়, তাঁদের বেশিরভাগের হাতেই চিনা সংস্থাগুলির তৈরি সস্তা বা মাঝারি মানের স্মার্টফোন। সাধারণ মোবাইল ফোনেরও বিক্রি বেশি চিনা কোম্পানিগুলিরই। বিক্রিতে শীর্ষে চার চিনা সংস্থা জিয়াওমি, রিয়েলমি, ভিভো, অপো। ভারতে বিক্রি বেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের মোবাইল ফোনের। দেশীয় সংস্থার ফোনও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এখনও ভারতের নতুন ও সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল বাজারে একচেটিয়া রাজত্ব করে যাচ্ছে চিন।
[আরও পড়ুন: বছর শেষে কাশ্মীরে সন্ত্রাসদমনে সাফল্য যৌথবাহিনীর, গুলির লড়াইয়ে খতম এক জেহাদি]
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয়দের কাছে সস্তায় পুষ্টিকর হিসাবে চিনা ফোনের বিকল্প নেই। চিনা ফোনে কম দামে এত ফিচার্স রয়েছে যা অন্য বিদেশি সংস্থা দিতে পারছে না। ভারতের সংস্থাগুলিও ওই দামে এতটা উন্নত ফোন বাজারে আনতে পারেনি। অন্য বিদেশি সংস্থাগুলি এত সস্তায় এত ফিচার্স দিতে পারছে না। ফলে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে চিনা ফোন। ২০১৯ অক্টোবরে যত লক্ষ চিনা ফোন ভারতে বিক্রি হয়েছিল অনলাইনে ও অফলাইনে, তার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি বিক্রি হয়েছে ২০২০ অক্টোবরে। আর সেই বিক্রির হার কমার কোনও আশা অদূর ভবিষ্যতে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।