সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিব সেনা এবং বিজেপির দ্বন্দ্ব কী তবে এখনও মেটেনি? দুই শরিকের সাপ-লুডোর লড়াই কী এখনও জারি। সেনার নতুন কটাক্ষের পর ফের এই প্রশ্নগুলি উঠতে শুরু করেছে। সোমবার মুখপত্র সামনায় শিব সেনা কটাক্ষ করে বলছে, এই ইভিএমে ভোট হলে লন্ডনেও জিতবে বিজেপি।
[লখনউতে মেগা রোড শো-য় রাজনৈতিক যাত্রা শুরু প্রিয়াঙ্কার, চাঙ্গা কংগ্রেস শিবির]
শিব সেনা এবং বিজেপির সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই তলানিতে। নোট বাতিলের পর থেকে যে কোনও ইস্যুতেই অন্য বিরোধীদের মতোই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির জোটসঙ্গীদের গলায়। যদিও, বিজেপি বরাবরই দাবি করে আসছে, ভোটের আগেই সমস্যা মিটে যাবে। এবং লোকসভাতে একসঙ্গেই লড়বে দুই দল। সম্প্রতি অমিত শাহ নিজে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেছেন। দুই শীর্ষনেতার বৈঠকে মহারাষ্ট্রে আসনরফাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে শোনা যায়। ঠিক হয় মহারাষ্ট্রের ৪৮ আসনের ২৫ টিতে লড়বে শিব সেনা। গতবার দুটি দল লড়েছিল সমসংখ্যক আসনে। কিন্তু, এবছর সেনাকে তুষ্ট করতে তাদের অতিরিক্ত একটি আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গেরুয়া শিবির। এরপর অবশ্য বেশ কিছুদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সুর নরম করে উদ্ধব ঠাকরের দল। কিন্তু, এই সন্ধিচুক্তি স্থায়ী হল না বেশিদিন।
[সিবিআই দপ্তরে হাজির রাজীব ও কুণাল, প্রশ্নমালা নিয়ে তৈরি তদন্তকারীরা]
আসলে, গন্ডগোলটা শুরু হয় মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি রাওসাহেব ডানভের একটি মন্তব্য ঘিরে। ডানভে দাবি করেছিলেন, এবছর মহারাষ্ট্রে ৪৮ আসনের মধ্যে ৪৩ টি আসন জিতবে বিজেপি। এরপর ফের দেখা যায় শিব সেনা। সোমবার সামনার সম্পাদকীয়তে কটাক্ষ করে সেনা বলছে, রাজ্যজুড়ে অশান্তি চলছে। রাজনীতি সাধারণ মানুষের থেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। কৃষকরা বিক্ষোভ করছেন, পিঁয়াজের দাম নেই, শিক্ষকরা বিক্ষোভ করছেন, সরকারি আশ্রয়স্থলে ১ হাজার শিশু মারা গেল। অথচ, এই সরকার দাবি করছে তাঁরা ৪৩ টি আসন জিতবে। অবশ্য আত্মবিশ্বাস থাকতেই পারে। এই ইভিএমে ভোট হলে মহারাষ্ট্রে ৪৮ টি আসন তো বটেই লন্ডনেও পদ্ম ফুটবে।”