সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নাশকতা আফগানিস্তানে (Afghanistan)। একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত ৯ নিরাপত্তাকর্মী। এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী। তবে হামলার পিছনে তালিবান (Taliban) জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। স্বয়ং আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানিরও দাবি, এটা তালিবানেরই কাজ। তিনি এই হামলাগুলির তীব্র নিন্দা করেছেন।
এদিন কাবুলে বন্দুকধারী আততায়ীরা হামলা করে বাগ-ই-দাউদে। তাদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের চার কর্মী। তাঁদের অন্যতম গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের কর্তা রেয়াজ আহমেদ খলিল। পরে সরকারি তরফে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, খলিলই ছিলেন জঙ্গিদের প্রধান লক্ষ্য। এদিকে আজই কাবুলের অন্যত্র একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও কাবুলের আরেক গাড়িবোমা বিস্ফোরণে চারজন মারা যান। আহত হন একজন।
[আরও পড়ুন: ‘সুশৃঙ্খল গণতন্ত্র’ ফেরাতেই মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান, চাপের মুখে সাফাই জুন্টার]
বছরখানেক ধরে শান্তি আলোচনা চলছে তালিবান ও আফগান সরকারের মধ্যে। অথচ তার মধ্যেই নিয়মিত হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই ধরনের হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ আফগান সরকার। আজ আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি দাবি করেন, এদিনের হামলার পিছনেও রয়েছে তালিবানরাই। তাঁর কথায়, ”ওরা বুঝিয়ে দিয়েছে, ওরা শান্তি চায় না।” পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি কাবুলের উত্তরে ফরিয়াব প্রদেশে এক গোপন অভিযান চালায় আফগান সরকার। সেই অভিযানে অন্তত ২১ জন তালিবান জঙ্গি খতম হয়। জখম হয় অন্তত ১৮। আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রক এই দাবি করেছে। যদিও তালিবানদের তরফে এই হামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
তবে কেবল তালিবানরাই নয়, ইসলামিক স্টেটও নিয়মিত নানা হামলা চালাচ্ছে। গত শনিবার কাবুলে সংখ্যালঘু শিখদের উপরে বোমা হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তারা। ওই হামলায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।