ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: চিকিৎসা পরিষেবায় সারা দেশে নজির গড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। একদিনে সাত প্রবীণ নাগরিকের প্রস্টেট অপারেশন হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগে। অস্ত্রোপচার করে দেশের চিকিৎসকদের আলোচনার মধ্যমণি ইউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুনির্মল চৌধুরী।
চল্লিশে পা দিলেই পুরুষদের একটা বড় অংশ প্রস্টেট সমস্যায় ভোগেন। নতুন পদ্ধতিতে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড স্টিম বা বাষ্প অর্থাৎ রিজুম পদ্ধতিতে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে বলা হয়েছে, রাজ্যের মধ্যে এনআরএস হাসপাতালে প্রথম এই চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। কিন্তু একদিনে সাত জনের প্রস্টেট গ্ল্যান্ড আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নজির তেমন নেই। শনিবার একদিনে সাত জনের অপারেশন করে সারা দেশের নজর কাড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
[আরও পড়ুন: কোন ‘লাক ফ্যাক্টর’-এ কেকেআরের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রাহুল?]
সুনির্মল বাবুর কথায়, "মূত্র থলির শেষ দিকে প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের ২-৩ সেন্টিমিটার অন্তর ইনজেকশন সূচ দিয়ে গরম বাষ্প পাঠানো হয়। ফলে প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের কোষগুলো মরে যায়। গ্ল্যান্ডের আয়তন কমে যায়। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরে আসে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড।" বিশিষ্ট চিকিৎসক জানান, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি শুরু করার আগে কিছুক্ষণের জন্য ওই অংশ অবশ করে নেওয়া হয়। নতুন এই পদ্ধতিতে রোগীকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হবে না। কয়েক ঘন্টা পরই বাড়ি ফিরতে পারবেন। হাসপাতালে রোগীর চাপও কমবে।
বর্তমানে ৫০ বছরেই অনেকের প্রস্টেট সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবের থলির ধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে। অথবা অনিয়ন্ত্রিত বেগ হয়। দেখা গিয়েছে, এই বয়সের রোগীদের অস্ত্রোপচারের পর গড়ে ৬৫ ভাগের যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার বয়সের কারণে ৭০-৮০ বছরের বৃদ্ধদের প্রস্টেট সমস্যা থাকলেও অস্ত্রোপচার সম্ভব হয় না। এবার থেকে ফি সপ্তাহে এই পদ্ধতিতে প্ৰস্টেট গ্ল্যান্ড অপারেশন করা হবে।