সুব্রত বিশ্বাস: রেল বোর্ডের (Railway Board) অনুমতি নিয়ে ছাড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল পূর্ব রেলের (Eastern Railway) একুশ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন। আপাতত তা স্থগিত হয়ে গেল রাজ্য লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি না দেওয়ায়। ট্রেনগুলির অধিকাংশই হাওড়া-আজিমগঞ্জ স্পেশ্যাল, হাওড়া-রামপুরহাট স্পেশ্যালের মতো ইন্টারসিটি। এই ধরণের ট্রেনগুলিকে চালানোর ছাড়পত্র ইতিমধ্যেই রেল বোর্ড দিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের সম্মতির অপেক্ষা ছিল। কিন্তু পূর্ব রেলের অপারেশন বিভাগ জানিয়েছে, রাজ্যের অনুমতি ছাড়া এই ধরনের ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস তারা চালাবে না। যেহেতু লোকাল ট্রেনের যাতায়াতের বিষয়টি রাজ্যের আওতায় পড়ে।
এদিকে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল লোকাল ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র চেয়ে রাজ্যকে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনে রাজ্য অবশ্য জুন মাসের শেষ পর্যন্ত সিলমোহর দেয়নি। রাজ্যের সম্মতি না পাওয়ায় লোকাল ট্রেন চলবে না। রাজ্যের এই মতে রেলকর্তাদের মধ্যে দ্বিমত দেখা দিয়েছে। সদর দপ্তরের কর্তাদের একাংশ রাজ্যের মতের সপক্ষে জানিয়েছে, তড়িঘড়ি লোকাল চালিয়ে আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনাটা অযৌক্তিক। আবার রেল আধিকারিকদের একটা মহল বলছে, লোকাল ট্রেন চালু হলে কোভিড (COVID-19) বিধি ভঙ্গ হতো না, বরং তা আরও ভালভাবে মানা যেত। শিয়ালদহের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বাধ্য হয়ে ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিলেন ডিআরএম এসপি সিং।
[আরও পড়ুন: বিধিনিষেধের সুফল! গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত সাড়ে তিন হাজার]
সোমবার রাজ্যের তরফে অনুমতি না মেলায় রেলকর্মীদের কথা চিন্তা করে স্টাফ স্পেশ্যালকে আরও সুরক্ষিত করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন DRM। তিনি জানান, রেলকর্মী ও যে বিভাগকে ছাড় দেওয়া হয়েছে তারা ছাড়া আর কেউ সেই ট্রেন চড়তে পারবেন না। এজন্য আইনগতভাবে ধরপাকড়ের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনগুলিতে এতটাই ভিড় হচ্ছে যে রেলকর্মীরা অরক্ষিত হয়ে পড়ছেন। তারা আধিকারিকদের দোষারোপ করছেন। স্টাফ স্পেশ্যাল আর বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই নতুন করে আর যেমন অনুমতি দেওয়া হবে না, তেমনই অনুমোদন ছাড়া কাউকে সেই ট্রেন চড়তে দেওয়া হবে না।