সুব্রত বিশ্বাস: করোনা আবহে হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা থেকে চল্লিশ শতাংশ ট্রেন এখনও চালু হয়নি, তার মধ্যে শীতের দরুন বাতিল হয়ে গিয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। রেলের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন বহু যাত্রী।
[আরও পড়ুন: পানীয় জলে ড্রেনের নোংরা জল মিশিয়ে সরবরাহ! উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে গুরুতর অসুস্থ শতাধিক]
পূর্ব রেল জানিয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে পুরো জানুয়ারি মাস পর্যন্ত শিয়ালদহ থেকে বাতিল করা হয়েছে আজমের এক্সপ্রেস ও হাওড়া-পাটনা এক্সপ্রেস। ১৬ ডিসেম্বর থেকে একই সময় পর্যন্ত বাতিল মালদহ-দিল্লি এক্সপ্রেস। বাতিলের সংখ্যা এবার বাড়তে থাকবে বলে ওই রেলের আশঙ্কা। বাতিলই নয় ট্রেন লেটের সময়ও বাড়বে। দশ, কুড়ি এমনকি তার থেকে বেশি লেটে চলবে ট্রেন। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, সুরক্ষায় কোনওরকম খামতি থাকা চলবে না। কুয়াশায় ট্রেনের গতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাতে ট্রেন কিছুটা লেট হলেও হবে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর থেকে পুরো জানুয়ারি মাস কুয়াশার মরশুম। এই সময় ট্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। প্রয়োজনে সময় এগিয়ে আনা হয়। কুয়াশার দাপট বাড়ার সঙ্গে লোকাল ট্রেনেয় বিলম্ব বাড়ে। দৃশ্যমানতার অভাবে সিগন্যাল দেখা যায় না। এজন্য ফগ সিগন্যাল পাঠানো হয়।
এদিকে, ট্রেন বাতিলের ফলে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন যাত্রীরা। রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই টিকিট বাতিলের হিড়িক পড়েছে। রেলকর্তারা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কিছু করার নেই। রানওয়ের দৃশ্যমানতা বজায় থাকলে বিমান চলাচলের পরিস্থিতি থাকে। কিন্তু ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রতিটা ইঞ্চিতে দৃশ্যমানতা থাকতেই হবে। ট্রেন চালবার সার্বিক দায়িত্ব চালকের হাতে। তাকে আইন মেনে সতর্কভাবে ট্রেন চালাতে হয়। স্টেশনে স্টপ সিগন্যালের আগে চালকের ভিউ ফাইন্ডারের জন্য বেশ কিছু স্লিপারে রং করা থাকে। যা দেখে চালক আগাম সতর্কতা নিতে পারে। প্রতিটি স্টেশনে একটি করে ভিজিবিলেটি টেস্ট অবজেক্ট থাকে। স্টেশন মাস্টার কুয়াশার সময় এই অবজেক্ট লক্ষ্য করেন। তা ঠিক থাকলে তবেই গেটম্যানকে নির্দিষ্ট নির্দেশ দেন। দূরপাল্লার ট্রেনের সঙ্গে লোকাল ট্রেন ঠিক একই কারণে বিলম্ব করে। নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিও একই নিয়মে। ফলে শীতের মরশুমে ঠান্ডার পাশাপাশি লেট লতিফ ট্রেনের জন্য যাত্রী দুর্ভোগ বাড়বে বলে আশঙ্কা রেলের।