সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলপূর্বকভাবে যৌন মিলন (Physical relation) ধর্ষণ (Rape) নয়, অতএব কোনও অপরাধও নয়। এমনকী, সেই যৌন সঙ্গমকে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ হিসাবেও গণ্য করা যাবে না, যদি স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের বেশি হয়। কারণ ভারতীয় আইন এটাই বলছে। বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ থেকে এক ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে গিয়ে এমনই রায় দিয়েছে ছত্তিশগড় হাই কোর্ট (Chhattisgarh High Court )।
ভারতীয় আইনের কোন ধারা অনুসারে এমন রায় দিল আদালত? ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার একটি ব্যতিক্রমের উপরই নির্ভর করে এই রায় দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই ধারায় বলা হয়েছে ‘নিজের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলা যাবে না, যদি না স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের কম হয়।’ আদালতের এই রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু ও গায়িকা সোনা মহাপাত্র। দু’জনেই প্রতিবাদ করে টুইটে করেন।
[আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত Congress, একাধিক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের পদ নিয়ে টানাপোড়েন]
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে গত ৬ আগস্ট কেরল হাই কোর্টও রায় দিয়েছিল যে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ দণ্ডযোগ্য অপরাধ নয়। তবে তা অবশ্যই বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য কারণ। যে মামলার সূত্র ধরে ছত্তিশগড় হাই কোর্টের বিচারপতি এন কে চন্দ্রবংশী এই সাম্প্রতিক রায়টি দিয়েছেন, সেখানে স্ত্রীর দাবি ছিল, বিয়ের পর থেকে পণ চেয়ে, তাঁর স্বামী তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেন। আর এর মধ্যে যৌন উৎপীড়নও রয়েছে। সব বিচার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার ব্যতিক্রমের সূত্র টেনে বিচারপতি জানান, অভিযোগকারিণী অভিযুক্তের স্ত্রী। কাজেই জোর করে বা স্ত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও সঙ্গম করাকে ভারতীয় আইনে ধর্ষণ বলে গণ্য করা যায় না।
যদিও ধর্ষণের ধারা ৩৭৬ থেকে মুক্তি দিলেও আদালত এই মামলায় ৩৭৭ ধারা এবং ৪৯৮-এ/৩৪ (মহিলাদের উপর নির্যাতন) বহাল রেখেছে। বিচারপতি জানান, মহিলার পড়শিদের বয়ানের ভিত্তিতে তাঁর উপর নির্যাতনের অভিযোগ গ্রাহ্য হচ্ছে।