সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ দিন পেরিয়েও জারি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের রক্তক্ষয়ী লড়াই। প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। বলি হচ্ছে শিশুরাও। তাই এই সংঘর্ষ থামানোর দাবিতে নয়াদিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এসএফআইয়ের কর্মীরা। প্রতিবাদীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন প্যালেস্টাইনের। প্যালেস্তিনিয়দের পক্ষ নিয়ে ইজরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো দেশেও হচ্ছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এবার এর আঁচ এসে লাগল ভারতেও।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার সকালে নয়াদিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের (Israeli embassy) সামনে প্রতিবাদ দেখান প্রায় আড়াইশোর উপর এসএফআই সমর্থক। গাজার (Gaza) হাসপাতালে হামলা, যুদ্ধে শিশুদের মৃত্যু- মূলত এই দুই বিষয় নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ভারতের পক্ষ থেকে আগেই ইজরায়েলের দূতাবাসে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। ফলে এসএফআইয়ের এই প্রতিবাদ-মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ফলে দূতাবাসের ৩০০ মিটার আগেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় তাঁদের। কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ। এর পরই দূতাবাসের সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন, এর বিচার করুন’, ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি ছাড়লেন তামিল অভিনেত্রী]
বলে রাখা ভালো, ইজরায়েলি দূতাবাসে হামলার আশঙ্কায় গত ১০ অক্টোবর নয়াদিল্লির (New Delhi) ইজরায়েলি দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। যা নিয়ে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানান, চাঁদনি চকের ইজরায়েলি দূতাবাসে ও ইজরায়েলের (Israel) রাষ্ট্রদূত নাওর গিলনের সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নয়া দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকার চাবাদ হাউসকেও। এটি মূলত ইহুদিদের ধর্মীয়স্থল হিসাবে পরিচিত। যুদ্ধ আবহে দূতাবাসে হামলার আশঙ্কা থেকেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার আকাশপথে গাজার হাসপাতালে হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে ইজরায়েলের দিকে। কিন্তু প্রমাণ দিয়ে সেই দাবি নস্যাৎ করে দেয় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। এই বিষয়ে ইহুদি দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা (US)। হামাস বনাম ইজরায়েলের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪ হাজারের উপর প্যালেস্তিনিয়।