অর্ণব আইচ: বাম আমলেই উত্থান শেখ শাহজাহানের। এক সাক্ষীর বয়ান তুলে ধরে সোমবার আদালতে এই তথ্য জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, গত ২০০৬ সালে ‘গুন্ডা’ হিসাবেই পরিচিত ছিল শেখ শাহজাহান। ২০১৩ সালে সে রাজনীতিতে আসে।
সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী আদালতে ইডির দাবি, ২০১৩ সালের পর শেখ শাহজাহান রাজনীতিতে এসে সন্দেশখালিতে বিভিন্ন পদ পায়। ক্রমে সে ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। তার কয়েকজন সহযোগী অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে এলাকায় তোলাবাজি করত। শাহজাহানের সহযোগী শিবু হাজরা ওই সাক্ষীকে ৪৫ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য করে, তার সংস্থা থেকে নির্মাণের কাঁচামাল বিক্রির বিনিময়ে। তার কাছ থেকে জিনিসপত্র না নিলে জেলায় কোনও টেন্ডার তাকে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: মাথাপিছু চাই ৪৫০ লিটার, কীভাবে মিটবে চাহিদা? এবার কলকাতাতেও জলের আকাল!]
অন্য এক সাক্ষী ইডিকে জানায়, টেন্ডারের ব্যাপারে শেখ শাহজাহান সামনে আসত না। শাহজাহানের ভাই আলমগির ও শিবু হাজরা ধামাখালি গেস্ট হাউস এবং ব্লক অফিসে ঠিকাদারদের ডেকে পাঠিয়ে কে কোন টেন্ডার পাবেন, তা ঠিক করে দিত। টেন্ডারের বিনিময়ে মোটা কমিশন নিত আলমগির-শিবুরা। আবার রাজ্য সরকারের দেওয়া টেন্ডার ঘুরপথে শাহজাহান ও তার সঙ্গীদের কাছে যাওয়ার ফলে তারা লাভবান হত। ১৩ মে পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।