ভারত: ৬৮৭/৬ ডিক্লেয়ার (কোহলি-২০৪)
বাংলাদেশ: ৩২২/৬ (শাকিব-৮২, মুশফিকুর-৮১*)
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উমেশ যাদবের রিভার্স সুইংয়ে কুপোকাত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। উপলে উপস্থিত ভারতীয় সমর্থকরা একটা সময় ধরেই নিয়েছিলেন, এদিনই হয়তো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যাবে। কিন্তু জাদেজা-অশ্বিনদের স্পিন প্রতিহত করে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকলেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। অলরাউন্ডার শাকিব-আল-হাসান এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ১৬৫ বলে ১০৭ রানের পার্টনারশিপ যেন মরুভূমিতে মরুদ্যানের মতোই ফুটে উঠল। আর সেই সঙ্গে তৃতীয় দিনের শেষে ভালভাবেই ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই জিইয়ে রাখলেন বেঙ্গল টাইগাররা।
(ফুটবল মাঠে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১৭ জনের)
এক ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি। মুরলী বিজয়, বিরাট কোহলি এবং ঋদ্ধিমান সাহার শতরানের সৌজন্য বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় তৈরি করেছিল টিম ইন্ডিয়া। বিরাট তো আবার সব রেকর্ড ভেঙে টানা চার টেস্টে চারটি দ্বিশতরানের মালিক হয়ে গেলেন। এমন রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামলে যে কোনও দলের চাপে থাকাটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় পেস ঝড়ে একে একে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল, মমিনুল হক, মাহম্মদুল্লাহরা। দলের ভরাডুবির সময় শক্ত হাতে হাল ধরলেন শাকিব। ১৪টি চার মেরে ১০৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম অর্ধ-শতরানের দৌলতে খানিকটা অক্সিজেন পেল বাংলাদেশ। এদিকে, ১৮ রানে একবার আউট হতে হতে বেঁচে যান অধিনায়ক রহিম। সঞ্জীবনী পেয়ে তা পুরোদমে কাজে লাগিয়ে দিনের শেষে ৮১ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ৫১ রান করে ক্রিজে টিকে রইলেন মেহেদি হাসান।
(গড়াপেটায় বিদ্ধ পিএসএল, সাসপেন্ড দুই পাক ক্রিকেটার)
বাংলাদেশের ইনিংসকে যত দ্রুত সম্ভব গুটিয়ে ফেলার লক্ষ্য নিয়েই চতুর্থ দিন মাঠে নামবেন ভারতীয় বোলাররা। ভারতের প্রথম ইনিংস দেখে মনে হয়েছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট জিততে হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে নামতেই হবে না। কিন্তু যেভাবে মুশফিকর-মেহেদিরা ঘুরে দাঁড়ালেন, তাতে বিরাটদের অন্যরকম সিদ্ধান্ত নিতে হতেও পারে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে হায়দরাবাদের ঐতিহাসিক টেস্ট।
The post শাকিব-রহিম জুটিতে লড়াই জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ appeared first on Sangbad Pratidin.