অর্ণব আইচ: ইডি হেফাজত শেষে জেলে সদ্যই প্রথম রাত কেটেছে রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শংকর আঢ্যর। প্রেসিডেন্সি জেলের তেইশ-চুয়াল্লিশ সেল ব্লকে রাখা হয়েছে তাঁকে। জেলে আবদারের শেষ নেই বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধানের। সূত্রের খবর, বাড়ির খাবার যেমন চাইছেন। তেমনই আবার পরিষ্কার কমোডওয়ালা শৌচালয়ের বায়না করছেন তৃণমূল নেতা।
জেলবন্দিদের মেনুতে সাধারণত ভাত, রুটি, তরকারি থাকেই। নির্দিষ্ট দিনে মাছ এবং মাংসও দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, শংকর আঢ্য চান বাড়িতে রান্না করা খাবার। যদিও আদালতের তরফে তেমন কোনও নির্দেশ নেই। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ না থাকায় বাড়ির খাবার দেওয়া যাবে না তৃণমূল নেতাকে। খাবার ছাড়াও পরিষ্কার ঝকঝকে কমোডওয়ালা শৌচালয়েরও বায়না জুড়েছেন শংকর। সূত্রের খবর, শংকরের একের পর এক ‘বায়না’ সামলাতে কার্যত বিরক্ত জেল কর্তৃপক্ষ। তাই তাঁর কোনও আবদারেই সায় দেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। হাইপ্রোফাইল বন্দি হলেও তাঁকে আর পাঁচজনের মতো জেলের খাবার এবং শৌচালয়ে অভ্যস্ত হতে হবে বলেই প্রেসিডেন্সি জেলের তরফে সাফ শংকরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দেহ নিতে এখানে এসো’, স্ত্রীকে মেসেজের পরই রেললাইনে দক্ষিণ-পূর্ব রেলকর্তার দেহ উদ্ধারে রহস্য]
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ‘ঘনিষ্ঠ’ শংকর আঢ্য। ইডির দাবি, হেফাজতে থাকাকালীন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র লেখা চিঠির সূত্র ধরে শংকরকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান। নিজেকে একাধিকবার ‘নির্দোষ’, ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ বলেও দাবি করেছেন। তবে তাতে শেষরক্ষা হয়নি। ইডি হেফাজত শেষে জামিন তো দূর। পরিবর্তে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলই ঠিকানা শংকরের।