সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার গঠনের পরও মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রীর ‘গোপন’ প্রস্তাব ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। এবার তারই পালটা দিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। তাঁর দাবি, এনসিপি, কংগ্রেস ও শিব সেনার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গঠন করতে গররাজি ছিল। তাই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। এমনকী এবিষয়ে নাকি এনসিপি প্রধানও জানতেন। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবি যে নতুন করে বির্তক উসকে দেবে, তা বলাই বাহুল্য।
দীর্ঘ টালবাহানার পর শিব সেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোট বেঁধে সরকার গড়েছে। যদিও তার আগে গোটা দেশকে চমকে দিয়ে ২৩ নভেম্বর কাকভোরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারে জন্য শপথ নিয়েছিলেন ফড়ণবিস। বিজেপি-এনসিপি জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এনসিপি প্রধানের ভাইপো অজিত পওয়ার। দেবেন্দ্র-অজিতের দাবি ছিল, তাঁদের সঙ্গে ৫৪ জন এনসিপি বিধায়ক রয়েছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার অবশ্য দাবি করেছিলেন, তিনি এই সরকারকে সমর্থন করেন না। অজিত একান্ত ব্যক্তিগতভাবে বিজেপিকে সর্মথন করেছে। এই টানাপোড়েন আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষপর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে মাত্র ৮০ ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। পরিবর্তে সরকার গড়ে শিব সেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাড়ি জোট। তারপরও বির্তক থামার লক্ষণ নেই।
[আরও পড়ুন; ‘যোগী আসুন, নইলে শেষকৃত্য নয়’, দাঁতে দাঁত চেপে বলছে উন্নাওয়ে নিহত তরুণীর পরিবার]
সেই বির্তকের আগুনে এবার আরও ঘি ঢাললেন খোদ ফড়ণবিস। তাঁর কথায়, “অজিত পওয়ার ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে কয়েকজন বিধায়কের কথাও বলিয়ে দেন। তাঁরা বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়তে চেয়েছিল। এ বিষয় শরদ পওয়ারের সঙ্গে তিনি (অজিত) আলোচনা করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন”। ফড়ণবিসের আরও দাবি, “এনসিপি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে চায়নি। তিন দলের জোট সরকার বেশিদিন টিকবে না বলে দাবি করেছিলেন অজিত।” তবে গেরুয়া শিবিরের এই চাল যে আদতে ‘বুমেরাং’ হয়েছে, তাও শনিবার স্বীকার করে নেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর দাবি ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়! পর্দার আড়ালের ঘটনাক্রম আস্তে আস্তে সামনে আসবে।’
[আরও পড়ুন; ধান শিক্ষিকার স্বামীর যৌন লালসার শিকার, তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা]
এদিকে কুর্সিতে বসেই সেচ দুর্নীতি মামলায় অজিত পওয়ারকে ক্লিনচিট দেওয়ায় বির্তকে জ়ড়িয়েছিলেন ৮০ ঘণ্টার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে ফড়ণবিস দাবি করেন, “আমি ২৬ নভেম্বর পদত্যাগ করি। আর এসিবি ২৭ নভেম্বর হলফনামা জমা করে।” তবে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন ঘিরে এই বির্তক যে সহজে থামার নয়, তা বেশ স্পষ্ট করে দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস।
The post ‘অজিতের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়ে সবই জানতেন শরদ’, দাবি ফড়ণবিসের appeared first on Sangbad Pratidin.