সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার মতো কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন আনা হোক মহারাষ্ট্রেও। এবার দাবি তুললেন মহা বিকাশ আঘাড়ির নেতা শরদ পওয়ার(Sharad Pawar)। এনসিপির পওয়ার শিবিরের সুপ্রিমো শরদ বলছেন, বাংলার মতো কঠোর আইনের প্রয়োজন মহারাষ্ট্রেও।
ধর্ষণের ঘটনায় কঠোরতম সাজা দিতে বিল আনার কথা আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে যায় ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। সেখানে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে যদি একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকে, এমনকী অত্যাচারের ভয়াবহতায় নির্যাতিতা যদি কোমায় চলে যান বা অচৈতন্য হয়ে পড়েন, তবে সেক্ষেত্রে দোষ প্রামাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হবে অপরাধীর। ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার নিস্পত্তির কথাও বলা আছে বাংলার বিলে।
[আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রেলকর্মীরা! সিভিসির পরিসংখ্যানে উঠছে একাধিক প্রশ্ন]
শরদ পওয়ার মনে করছেন, এই বিল মহারাষ্ট্রেও আনা উচিত। মারাঠা স্ট্রংম্যান বলছেন, "মহারাষ্ট্রেরও বাংলার মতো বিলের কথা ভাবা উচিত। সামনেই নির্বাচন এখন হয়তো আর বিধানসভার অধিবেশন হবে না। তাই আমরা নির্বাচনী প্রচারে এই বিষয়টিতে আলোকপাত করব। আমাদের ইস্তেহারেও থাকবে এই আইনের কথা।" পওয়ার জানিয়েছেন, নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাড়ির সরকার এলেই নতুন আইন কার্যকর করা হবে।
[আরও পড়ুন: বিহারে গানের অনুষ্ঠানে মাত্রাছাড়া ভিড়, দর্শক-সহ হুড়মুড়িয়ে ভাঙল ছাদ, প্রকাশ্যে ভয় ধরানো ভিডিও]
আসলে এই মুহূর্তে বাংলা যেমন আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল, তেমনই মহারাষ্ট্রেও বদলাপুর কাণ্ডের প্রতিবাদ হচ্ছে। গত ১৬ আগস্ট ঠানের বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচালয়ে দুই খুদে পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত স্কুলেরই ২৩ বছরের সাফাইকর্মী। এই ঘটনায় থানায় শিশুর পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে জনতা। সেই প্রেক্ষিতেই এই আইনের পক্ষে সওয়াল করলেন পওয়ার।