সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনসিপিতে (NCP) কংগ্রেসের ছায়া! ঠিক যেভাবে সোনিয়া গান্ধী সভাপতি থাকাকালীন কংগ্রেসের শীর্ষস্তরে ‘ইস্তফা ইস্তফা খেলা’ হত, শরদ পওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতেও খানিকটা তেমনই হচ্ছে। শরদ পওয়ার (Sharad Pawar) দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন বটে, তবে শুরু থেকেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছিল, শেষমেশ দলের রাশ হাতছাড়া করবেন না মারাঠা স্ট্রংম্যান। ঘটনাপ্রবাহও সম্ভবত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
এনসিপিতে পওয়ারের উত্তরসূরি বেছে নিতে মুম্বইয়ের পার্টি অফিসে শুক্রবার সকাল ১১টায় বৈঠকে বসেছিল এনসিপির শীর্ষনেতাদের একটি কমিটি। প্রফুল্ল প্যাটেল (Prafulla Patel) থেকে শুরু করে অজিত পওয়ার, কে ছিলেন না সেই কমিটিতে। ততক্ষণে আবার দলের সদর দপ্তরের সামনে ভিড় জমিয়েছেন কর্মীরা। কিছুক্ষণ পর জানা গেল, নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া নয়। শরদ পওয়ারকেই দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এমনই প্রস্তাব পাশ করেছে ওই কমিটি।
[আরও পড়ুন: বলিউডি কায়দায় মধ্যপ্রদেশে ভয়ংকর শ্যুট আউট, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অন্তত ৬]
এনসিপির শীর্ষস্তরের নেতারা ওই সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ করেছেন, পওয়ারের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে না। বুঝিয়ে শুনিয়ে তাঁকেই দলের সভাপতি পদে থেকে যেতে অনুরোধ করা হবে। এ খবর ঠাওর হতেই পার্টি অফিসের বাইরে দলের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। দলের শীর্ষ নেতারা এবার চলে যান শরদ পওয়ারের বাসভবন সিলভার ওকে। তাঁকে জানানো হয় কমিটির প্রস্তাব। শোনা যাচ্ছে, মারাঠা স্ট্রংম্যান নাকি দলের নেতাদের কাছে আরও খানিকয়টা সময় চেয়ে নিয়েছেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য।
[আরও পড়ুন: ‘সব বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হোন’, মমতার মুখে ফের একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ের বার্তা]
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পওয়ার শেষপর্যন্ত হয় নিজে দলের সভাপতি থেকে যাবেন, নাহয় মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেকে দলের দায়িত্ব দিয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে অজিত পওয়ারের (Ajit Pawar) কী হবে? তিনি তো আগে থেকেই গোঁসা করে বসে আছেন। কোনও পদ না পেলে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে তাঁর এক মিনিটও লাগবে না। সূত্রের খবর, অজিতকে নিয়েও ভাবনা রয়েছে পওয়ারের। ২০২৪ বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে অজিতকে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি। সেজন্য জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং শিব সেনার সঙ্গে কথাবার্তাও শুরু করেছেন মারাঠা স্ট্রংম্যান। নিতান্ত যদি জোটসঙ্গীদের রাজি করানো না যায়, তাহলে অজিতকে মহারাষ্ট্রের সভাপতি করা হতে পারে। এই সব সমীকরণ ঠিক করতেই খানিক সময় নিচ্ছেন মারাঠা স্ট্রংম্যান।