সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে সারমেয় দত্তক নেওয়ার জন্য শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) সঙ্গে ডেটে গিয়েছিলেন, তাকে খুন করেছেন শশাঙ্ক ভাবসর (Shasanka Bhavsar)। ফেসবুক ভিডিওয় এমনই অভিযোগ করেছিলেন দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen)। ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীলেখা মিত্রও। সুদূর সুইজারল্যান্ড থেকে এই কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখর হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী। বার বার শশাঙ্ক ভাবসরের সঙ্গে দেখা করার আক্ষেপও করছেন শ্রীলেখা। গতকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া শশাঙ্ক ও শ্রীলেখাকে নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। তবে এই সারমেয় খুন বিতর্কে বারুদ ঢেলে দিল একটি ভিডিও।
শশাঙ্ক ভাবসরের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ভিডিও শেয়ার হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, শশাঙ্কের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়পরিজন, পাড়ার লোক গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করছেন। শশাঙ্কের বিরুদ্ধে যে সারমেয় খুনের অভিযোগ উঠেছে, তা নসাৎ করেছেন তাঁরা। ভিডিওতে শোনা গিয়েছে, এই দুই মহিলা যার মধ্যে রয়েছেন দময়ন্তী সেনও। পশুপ্রেমী মহিলাই মারধর করেছেন শশাঙ্ককে। অন্তত শশাঙ্কের এলাকাবাসীদের অভিযোগ এটাই। তবে গোটা ভিডিওতে একেবারেই চুপ ছিলেন শশাঙ্ক। আরও একটি ভিডিও সামনে আসে যেখানে দেখা গিয়েছে, পশুপ্রেমী ফোরামের সদস্যরা আড়িয়াদহতে শশাঙ্কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে রাস্তায় এনে চড়, লাথি মারতে শুরু করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর দুই তরফ থেকে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় আহত হন শশাঙ্ক।
[আরও পড়ুন: Sreelekha Mitra’র সঙ্গে ডেটে যাওয়ার পরই দত্তক নেওয়া সারমেয়কে খুন! যুবককে তোপ অভিনেত্রীর]
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফ থেকে শশাঙ্ককে ফোন করা হলে তিনি জানান, ‘গোটা বিষয়টা নিয়ে মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত। কথা বলার অবস্থায় নেই।’
অন্যদিকে, গোটা বিষয়টা নিয়ে ফের মুখ খোলেন শ্রীলেখা। ফেসবুকে শ্রীলেখা লিখলেন, কারও নিজের বাচ্চা মারা গেলে সে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারত কি? না আমি জাস্টিফাই করছি না। যাঁরা ওই ছেলেটাকে মেরেছে তাঁদের। কিন্তু জানেন তো, এই নোংরা রাস্তার কুকুরগুলো, আমাদের সন্তানসম, তাই সন্তানের মৃত্যুতে তারা জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছিল। আপনাদের হলে আপনারা কী করতেন?
শ্রীলেখা ফেসবুকে আরও লেখেন, ‘আমাকে কে কী বলল, তাতে সত্যি আমার কিছু যায়ে আসে না। যখন সবাই দলে দলে তৃণমূল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিল, তখন শ্রীলেখা ছিল সিপিআইএমের প্রচারে। তাই নিজেকে ছাড়া কারও কাছে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’