সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। দিকে দিকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছেন হিন্দুরা। এবার হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারিতে সোচ্চার হলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে মুজিবকন্যা তথা দলনেত্রীর বিবৃতি প্রকাশ করে আওয়ামি লিগ। সেখানে বলা হয়েছে, 'বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের উপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এইসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।'
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে। চলতি নভেম্বর মাসে তা আরও লাগামছাড়া হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ নভেম্বর ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রামের এক মুসলিম ব্যবসায়ী। ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’-এর তকমা দেন তিনি। যার পরই স্থানীয় হিন্দুদের বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় চট্টগ্রাম। সেই বিক্ষোভ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর মাঝেই ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আনা হয়েছে। খারিজ হয়েছে জামিন। যা নিয়ে হিন্দুদের বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে মামলা হয় আদালতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। ফলে মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল বিচার ব্যবস্থার কড়া সিদ্ধান্তে। ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে পদ্মাপাড়ের সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেই দাবি ধোপে টিকল না আপাতত।