সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে ভরে গিয়েছিল দিল্লির নিগমবোধ ঘাট। কিন্তু, কোথাও কোনও চেঁচামেচি নেই। সবাই কেমন যেন চুপচাপ, থমথমে মুখে এদিক-ওদিক দেখছেন। তার মধ্যে চোখে পড়ল নিচুতলার কর্মীদের পাশাপাশি ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর মুখও। শুধুমাত্র অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া শুরুর সময় আচমকা চোখে জল চলে এল সবার। শনিবার সকালে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা নিয়ে দিল্লির ফর্টিস হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। চিকিৎসা ঠিক মতো শুরু হওয়ার আগেই তিনটে ১৫ মিনিট নাগাদ আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। আর তারপর তিনটে ৫৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন- উৎক্ষেপণের দিন পিছোলেও নির্দিষ্ট দিনেই চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান]
বিকেলে খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে দেশের রাজনৈতিক মহলে। আধুনিক দিল্লির রূপকার হিসেবে পরিচিত দিল্লির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা মৃত্যুর খবর শুনে টুইট করেন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জনপ্রিয় এই নেত্রীর স্মৃতিচারণা করার পাশাপাশি তাঁর পরিবারকে গভীর সমবেদনাও জানান। এরপর রবিবার সকাল থেকে প্রয়াত শীলা দীক্ষিতের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন সর্বস্তরের কংগ্রেস নেতা-নেত্রী ও কর্মী-সমর্থকরা। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিরোধী দল বিজেপি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী থেকে শুরু করে ব্যক্তি শীলা দীক্ষিতের শুভাকাঙ্ক্ষীরা। যে তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এলকে আডবানী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা।
বাড়ি থেকে সাদা ফুলে ঢাকা গাড়িতে তাঁর মরদেহ সোজা নিয়ে যাওয়া হয় মধ্য দিল্লিতে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দপ্তরে। সেখানে সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংহ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ কংগ্রেস দপ্তর থেকে যমুনা নদীর তীরে নিগমবোধ ঘাটে পৌঁছায় শীলা দীক্ষিতের শেষ যাত্রা। তারপর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী সিএনজি গ্যাসের আগুনে দাহ করা হয় তাঁর নশ্বর দেহ।
The post পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন অন্ত্যেষ্টি, অশ্রুসজল চোখে শীলা দীক্ষিতকে শ্রদ্ধার্ঘ্য কর্মী-সমর্থকদের appeared first on Sangbad Pratidin.