সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। আদৌ এনডিএ ডোটে শিব সেনা থাকবে কিনা তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু মোদি ও বিজেপি বিরোধিতায় ফের একবার ফ্রন্টফুটে খেলল শিব সেনা। বাংলায় সিবিআই বনাম রাজ্য পুলিশের সংঘাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেদার প্রশংসায় ভরিয়ে দিল তাদের দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’। সম্পাদকীয়তে মমতাকে বাঘিনী বলে উল্লেখ শিব সেনার দলীয় মুখপত্রে। সম্পাদকীয়তে এও বলা হয়েছে, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক কিন্তু গত ৪ বছর ধরে ‘চিট ইন্ডিয়া’ মামলাগুলিতে কী করেছে? দিল্লির শাসকের তোতাপাখিতে পরিণত হয়েছে সিবিআই, আদালত এবং রিজার্ভ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি। বাংলায় যা হচ্ছে তাকে ভোটের রাজনীতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে মুখপত্রে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাংলোয় পৌঁছন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাঁকে জেরার করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাংলোয় ঢুকতে বাধা দেন পুলিশের আধিকারিকরা। টেনেহিঁচড়ে সিবিআই আধিকারিকদের গাড়িতে তুলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। তারপর মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা পৌঁছান সিপির বাড়িতে। সেখানে বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, সংবিধান ধ্বংস করার অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের হানা দেওয়ার প্রতিবাদে সেদিন রাতেই ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে ৪৬ ঘণ্টা পর জোটসঙ্গীদের অনুরোধে ধরনা প্রত্যাহার করে নেন মমতা। তাঁর এই আন্দোলনকে উদ্ধৃত করে মুখপত্রে লেখা হয়েছে, মমতা বাঘিনীর মতো লড়াই করেছেন। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ১০০টি আসন কম পেতে পারে জেনেই মরিয়া হয়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই বাংলায় এই আগ্রাসন।
[‘আদালতে আমাদের জয় হয়েছে’, তিনদিনের মাথায় ধরনা তুলে নিলেন মমতা]
একনজরে দেখে নিন, কী কী লেখা হয়েছে সম্পাদকীয়তে-
- বাংলায় যা হচ্ছে তা বিজেপি বনাম তৃণমূল কংগ্রেস নয়, বরং মোদি বনাম মমতা।
- কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে জেরা করতে সিবিআই আধিকারিকরা কেন প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে গেলেন না? কেন তাঁরা ভুলে গেলেন?
- বাংলার পরিস্থিতি গোটা দেশের পরিস্থিতিকে দেখাচ্ছে।
- আদালত, সিবিআই, নীতি আয়োগ, রিজার্ভ ব্যাংক তাদের সম্মান খুইয়েছে। দিল্লির শাসকের তোতাপাখিতে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলি। কিছুদিন আগের সিবিআইয়ের অন্তর্কলহ সবাই জানে।
- চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক কিন্তু গত ৪ বছর ধরে ‘চিট ইন্ডিয়া’ মামলাগুলিতে কী করেছে?
- আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ১০০টি আসন কম পেতে পারে জেনেই মরিয়া হয়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই বাংলায় এই আগ্রাসন। রথযাত্রা না বের করতে পারার বদলা হিসাবে এই রাজনীতি।
- মমতার সঙ্গে আদর্শগত বিরোধ থাকলেও তাঁর এই বাঘিনীর মতো লড়াই মনে রাখার মতো।