সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের বাকি মাত্র ৩ সপ্তাহ, তার আগে বড়সড় ধাক্কা খেলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বজন-পোষণের অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন তাঁরই শ্যালক সঞ্জয় সিং মাসানি। প্রাক্তন বিজেপি নেতার অভিযোগ, রাজ্যে বেকারত্ব চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে, শিল্প কারখানার অভাব সবচেয়ে বড় সমস্যা। গত ১৫ বছরে চৌহান সরকার কিছুই করেনি।
[অযোধ্যায় বিশ্বের উচ্চতম রামের মূর্তি গড়তে চলেছে যোগীর সরকার]
মধ্যপ্রদেশে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার বিরুদ্ধে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ। ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এবার শিবরাজের পক্ষে ক্ষমতায় ফেরা বেশ কঠিন হবে। আঁটঘাঁট বেঁধে নেমেছে কংগ্রেসও। ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন রাহুল গান্ধী। যদিও, এখনও পুরোপুরি প্রচারে নামেননি বিজেপির শীর্ষ নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের উপরেই ভরসা করছেন তারা। এরই মধ্যে নতুন করে ধাক্কা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিবরাজের স্ত্রী সাধনা মাসানির সহোদর সঞ্জয় সিং শনিবার কংগ্রেসে যোগদান করেন। দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দপ্তরে সেসময় উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ এবং শীর্ষ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। গত সপ্তাহেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন দুজন বিজেপি বিধায়ক। কংগ্রেসের দাবি আগামী দিনে আরও বিজেপি নেতা বিরোধী শিবিরে যোগ দেবেন।
[নির্মল হওয়ার দৌড়ে শূন্য পেল মোদির দত্তক নেওয়া গ্রাম]
এদিন হাত শিবিরে নাম লিখিয়ে শিবরাজের শ্যালক বলেন, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি শুধুমাত্র স্বজনপোষণ, আর পরিবারতন্ত্রের উপর বেঁচে আছে। নির্বাচনে শুধু বিধায়ক এবং সাংসদদের ছেলেমেয়েরাই টিকিট পাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে সময় এসেছে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার। কারণ, বেকারত্ব আর শিল্পের অভাব এই দুই সমস্যা নিয়েই এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি শিবরাজের সরকার।