সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির পর এবার কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার। এমনিতে ভারতীয় ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের প্রশংসাই শোনা যায় শোয়েবের মুখে। কিন্তু কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান সরকার এবং নিজের দেশের ক্রিকেটারদের সুরেই গলা মেলালেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘গোটা পাকিস্তান কাশ্মীরের পাশে আছে’, ৩৭০ ইস্যুতে মুখ খুললেন সরফরাজ আহমেদ]
ভারত সরকার ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর পাকিস্তানে একপ্রকার বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারত সরকার কাশ্মীরবাসীর নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে, বারবার সে কথাই প্রমাণের চেষ্টা করে চলেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এবার নাম না করেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন শোয়েব। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি শিশুর চোখ ব্যান্ডেজে ঢাকা। সঙ্গে লেখা, “আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত তুমি। তোমাদের পাশে আছি। তোমাদের স্বাধীনতা কামনা করি।” সঙ্গে ইদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন কাশ্মীরবাসীকে। শোয়েবের এমন প্রতিক্রিয়ার পরই সরগরম হয়ে ওঠে নেটদুনিয়া। অনেক ভারতীয় লেখেন, “এদেশেও আপনার প্রচুর ভক্ত রয়েছে। কিন্তু এই মন্তব্যের পর আপনাকে আনফলো করছি। এবং সবাইকে আনফলো করার আহ্বান জানাচ্ছি।” অনেকে আবার নিন্দায় সরব হয়ে বলেছেন, কাশ্মীর নয়। বালোচিস্তান লেখা উচিত ছিল।
[আরও পড়ুন: ক্যারিবিয়ান সফরে বিতর্কে টিম ইন্ডিয়ার ম্যানেজার, খোয়াতে পারেন চাকরি]
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এখনও কাশ্মীর থেকে সে অর্থে বড় কোনও হিংসার খবর আসেনি। এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভ দমন করতে একটি বুলেটও খরচ করতে হয়নি সেনাবাহিনীকে। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাহের বিভিন্ন প্রান্তে সোমবার সুষ্ঠভাবে ইদও পালিত হয়েছে। সেদিনই করাচিতে ইদের নমাজ শেষে সরফরাজ বলেন, “কাশ্মীরিদের দুঃখ-দুর্দশা আমরা যেন একসঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি। আর এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সর্বশক্তিমান আল্লা যেন তাঁদের সাহায্য করেন, সেই প্রার্থনাই করি।” তার আগে এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আফ্রিদি। এবার ৩৭০ বিলোপের বিরোধিতা করে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের বিরাগভাজন হলেন শোয়েব আখতার।
The post কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে মুখ খুলে ভারতীয়দের রোষানলে শোয়েব আখতার appeared first on Sangbad Pratidin.