সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রদত্ত সমস্ত সুবিধা ভোগ করেন। আবার দেশ তথা সেনার সমালোচনাও করতেও পিছপা নন। তাই বুদ্ধিজীবীদের গুলি করে মারা উচিত। অন্তত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে এমন নির্দেশই দিতেন। এহেন মন্তব্য করেই বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটকের বিজেপি নেতা বসনাগৌড়া পাটিল ইয়াত্না।
[ চাইলে এক মিনিটেই মুখ্যমন্ত্রী হতে পারি, দাবি হেমা মালিনীর ]
বিতর্কে অবশ্য এই প্রথম জড়াচ্ছেন না এই বিজেপি নেতা। এর আগে স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছিলেন, মুসলিমদের যেন কোনওরকম সাহায্য না করা হয়। তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ার। তাই প্রচারের আলো কী করে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিতে হয়, তা তিনি ভালই জানেন। ১৯৯৪-৯৯ পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন, সাংসদ ছিলেন ১৯৯৯-২০০৯ পর্যন্ত। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে রাষ্ট্রমন্ত্রীও হয়েছিলেন। এর মধ্যে একবার বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আবার স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। এর মধ্যেই ফের একবার বিতর্ক চড়িয়ে দিয়ে খবরের শিরোনামে এই বিতর্কিত নেতা। কিন্তু কেন তিনি বুদ্ধিজীবীদের গুলি করে মারতে চান। তাঁর দাবি, বুদ্ধিজীবীরা এই দেশেই বাস করেন। জনগণের করের টাকায় সবরকম সুবিধা ভোগ করেন। তারপর আবার দেশের সেনার বিরুদ্ধেই স্লোগান তোলেন। তাঁরাই যে দেশের কাছে সবথেকে বিপজ্জনক এ ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস তাঁর। আর তাই তাঁ দাবি, তিনি যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতেন, তাহলে এঁদের গুলি করে মারার নির্দেশ দিতেন।
কিছুদিন আগেই খুন করা হয়েছে প্রখ্যাত সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে। কাশ্মীরে হত্যা করা হয়েছে শুজাত বুখারিকে। হিট লিস্টে আছেন গিরিশ কারনাডের মতো নাট্যব্যক্তিত্ব। এই প্রেক্ষিতেই বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছে। যদিও দলের তরফে এখনও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
The post স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে বুদ্ধিজীবীদের গুলি করার নির্দেশ দিতাম, বিস্ফোরক বিজেপি নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.