চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: রাতদুপুরে ফের চাঞ্চল্য আসানসোল (Asansol) শিল্পাঞ্চলে। চিত্তরঞ্জনে এক যুবককে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। খুব কাছ থেকে গুলি চালানোয় তাঁর মাথায় গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তদন্তে নেমে দেখা যায়, ওই যুবক ঝাড়খণ্ডের। নাম রাহুল রামো। দুষ্কৃতীরাও কি ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ঢুকে এমন অপরাধ ঘটিয়ে গেল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন রাত ১০টা নাগাদ চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালের সামনে রাহুল রামো নামে ওই যুবককে খুব কাছ থেকে গুলি করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে রক্তাক্ত যুবক। পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের মিহিজামে। হামলার পর তাঁকে কেজি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পডুন: করোনা মোকাবিলায় আরও এগিয়ে বাংলা, অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যু]
হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ও আরপিএফ বাহিনী। কী কারণে এই হামলা, তার কোনও সূত্রই এখনও হাতে আসেনি পুলিশের। তবে খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের নাম জড়িয়ে গেল বাংলা সঙ্গে। প্রশ্ন উঠেছে, রেলপুলিশের দ্বারা নিরাপত্তা বেষ্টিত এই শহরে কীভাবে এমন খুনের ঘটনা ঘটল? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে এসে চিত্তরঞ্জনকে অপকর্মের জন্য ‘সেফ জোন’ হিসাবে ব্যবহার করেছে।