সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানিং, রাজগঞ্জের পর এবার হাওড়া (Howrah)। নাজিরগঞ্জে গভীর রাতে খুন হলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘুর সেলের নেতা। তাঁকে গুলি (Shootout) করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরিচিত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরপর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল নেতাদের হত্যার ঘটনার জন্য বিরোধী দলকেই দায়ী করছে শাসকদল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার নাজিরগঞ্জে মৃত ওয়াজুল খান জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের (Minority cell) সম্পাদক। সোমবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরার পথে আচমকাই প্রায় ৭ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি ছোঁড়া করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওয়াজুল খানের। তদন্তে নেমে নাজিরগঞ্জ থানার পুলিশ রাস্তার আশেপাশের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তাতে বেশ কয়েকজনের গতিবিধি সন্দেহজনক বলে মনে হয়। তল্লাশি চালিয়ে ৪ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কী ভূমিকা এই হত্যাকাণ্ডে, জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওয়াজুলকে খুন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিয়েবাড়িতে কফি মেশিন ফেটে মৃত্যু অতিথির, আনন্দের আবহ বদলে গেল শোকে]
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে রবিবার রাতের দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন তৃণমূলের এসটি সেলের বুথ সভাপতি মহম্মদ সোলেমান। তার আগে শনিবার রাতে ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ হন মহরম শেখ নামে তৃণমূলের যুব সভাপতি। পরদিন এসএসকেএম-এ তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর সোমবার রাতে হাওড়ার নাজিরগঞ্জে খুন হলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা। অর্থাৎ পরপর তিনদিন রাজ্যের তিন প্রান্তে নিহত হলেন শাসকদলের তিন নেতা। এহেন ধারাবাহিক খুনের ঘটনায় বিরোধীদের দিকেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ উড়িয়ে বিরোধী বিজেপির দাবি, নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এসব হিংসার ঘটনা ঘটছে। বিরোধীদের বদনাম করার জন্যই তাদের দিকে দায় ঠেলছে শাসকদল।