সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা ক্রিকেটদুনিয়া চমকে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ভারতের ‘দাদাগিরি’ দেখে। ঋষভ পন্থের পাশাপাশি শুভমন গিলের (Shubman Gill) দুরন্ত ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ সবাই। ২১ বছরের তরুণের খেলা দেখে আর সকলের মতোই মুগ্ধ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা শশী থারুরও (Shashi Tharoor)। এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই ছেলেই একদিন ভারতের হয়ে মাঠে টস করতে নামবেন। কোহলির (Virat Kohli) পরে তাঁর মাথাতেই অধিনায়কত্বের শিরোপা দেখছেন থারুর।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? গিলের প্রতি উচ্ছ্বসিত থারুরের কথায়, ”এই ছেলেটিকে দেখলে বোঝা যায় ওর মাথাটা কতটা পরিণত। আগামী কয়েক বছর যদি এমন খেলা খেলে যেতে পারে, তবে বিরাট কোহলির পরে ওই ভারতের অধিনায়ক হবে। আমার এতে কোনও সন্দেহ নেই। কী অসামান্য আত্মনিয়ন্ত্রণ! আমার মতে, ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।” এই বয়সেই গিলের আত্মবিশ্বাস তাঁকে চমকে দিয়েছে বলে জানান থারুর।
এবারের সিরিজে নিঃসন্দেহে খুব বড় আবিষ্কার গিলের ব্যাটিং। প্রথম টেস্টে ভারতের ৩৬ অলআউটের ধাক্কার পরে দ্বিতীয় টেস্টে দলে আসেন গিল। এবং প্রথম ইনিংসের ৪৫ রান থেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ৬ ইনিংসে ২৫৯ রান তাঁর। কেবল শশীই নন, দেশের ক্রিকেট ভক্তরা রীতিমতো আপ্লুত তরুণ তারকার ব্যাটিং বিক্রমে।
[আরও পড়ুন: ভারতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পরই ট্রেন্ডিং রাহুল দ্রাবিড়, কুর্নিশ জানাচ্ছে নেটদুনিয়া]
কিন্তু মনখারাপ তাঁর বাবার। কাল ছেলের ৯১ রানে আউট হওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তাঁর কথায়, ”সেঞ্চুরিটা পেলে ওর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ত। এত ভাল খেলেও কী করে যে আচমকাই শরীর থেকে দূরে ওভাবে শটটা খেলতে গেল।” তাঁর এই আক্ষেপের জবাবে টুইট করেছেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। তাঁর সরস টিপ্পনী, ”মা-বাবা শেষ পর্যন্ত মা-বাবাই হয়।”
এদিকে বিরাট টার্গেট তাড়া করে ভারতের কার্যত ‘এ’ টিমের ম্যাচ ও সিরিজ জিতে যাওয়াটা এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদেরও। বিরাট কোহলির দেশে ফেরার পর থেকেই সকলের ধারণা হয়েছিল, সিরিজে অত্যন্ত খারাপ ভাবে হারবে ভারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত ২-১ জয়ে নয়া ইতিহাস রচনা করেছে টিম রাহানে। যা দেখে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনের (Michael Vaughan) সাফ কথা, ”অ্যাডিলেড ম্যাচের পরে আমার ধারণা হয়েছিল, ভারত ৪-০ হারবে। এমনকী ভারতের অন্ধ সমর্থকরাও বোধহয় আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এটাই সত্যি আমাকে ভুল প্রমাণ করে ছেড়েছে ওরা।” শার্দুল ঠাকুর, ওয়াশিংটন সুন্দর ও শুভমন গিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।