সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং পরিষেবা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার না করার সুপারিশ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। এনআইএ, এনডিএ-র মতো সম্মানীয় সংস্থাগুলিকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধ করল কেন্দ্র। গত ৩০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁরা জানতে পেরেছেন, দুটি মারাত্মক ভাইরাস হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সদস্যদের স্মার্টফোনে ওই ভাইরাস ঢুকিয়ে দিতে চায় জঙ্গিরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দুটি ফাইলের বার্তাকে উদ্ধৃত করে সোমবার এই খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
(আমেরিকার ধাঁচে সেনাকে ঢেলে সাজানোই স্বপ্ন মোদির!)
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র সিলেকশন অর্ডার ও ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি-র পুণে শাখা এখন পাক জঙ্গিদের টার্গেট। সূত্রের খবর, দুটি ভাইরাসের মধ্যে একটির নাম লাদেন। এটি মূলত একটি এম এস এক্সেল ফাইল। কিন্তু আপাত নিরীহ দেখতে এই ফাইলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মারাত্মক ভাইরাস। ফাইল ভেবে ডাউনলোড করলে খুলতে চায় না। একজন ইউজার যতবার ফাইলটি ‘ওপেন’ করার চেষ্টা করবেন, ভাইরাসটি ততই ফোনের ভিতর ছড়িয়ে পড়বে। পৌঁছে যাবে একবারে ‘রুট ফাইল’ পর্যন্ত। পাক জঙ্গিরা প্রচুর অর্থ খরচ করে এই জাতীয় ভাইরাস আমদানি করে বিদেশের কোনও গোপন সংস্থা থেকে। একবার স্মার্টফোনে ঢুকে গেলে সেখান থেকে যাবতীয় তথ্য চুরি করে হ্যাকারদের কাছে পৌঁছে দিতে ওস্তাদ এই ‘লাদেন’ ভাইরাস। ছবি, ব্যাঙ্কের পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য মুছেও ফেলতে পারে এই ভাইরাস। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বলছেন, “এই দুটি সংস্থাই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ওই সম্মানীয় সংস্থাগুলির মোবাইল ফোনের সফটওয়্যারের প্রতি হ্যাকারদের নজর থাকে সবসময়। যে কোনও মূল্যে কোনও ভারতীয় সদস্যের স্মার্টফোন থেকে তথ্য চুরি রুখতে হবে।” গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর পুরুষ, মহিলা সদস্য ও পুলিশকর্মীদের স্মার্টফোন এখন পাক জঙ্গিদের সফট টার্গেট। স্মার্টফোন কোনওভাবে অস্বাভাবিক আচরণ করলেই সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওই ঘটনা জানাতে নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নজরদারি পাকিস্তানের
The post হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধ করল কেন্দ্র! appeared first on Sangbad Pratidin.