সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। ভারতের মেগাস্টার। দিল্লি থেকে একবুক স্বপ্ন নিয়ে মায়ানগরীতে পা রাখা ছেলেটা বিগত তিন দশক ধরে তিল তিল করে নিজের ফিল্মি কেরিয়ার গড়েছেন। জীবনে বহু ওঠাপড়ার সাক্ষী থেকে আজ তিনি বলিউডের ‘বেতাজ’ বাদশা। কোনওদিন অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেননি। এমনকী, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের হুমকির সামনেও মাথা নোয়াননি শাহরুখ। ভারত তো বটেই, এমনকী আন্তর্জাতিক ময়দানেও তাঁর জনপ্রিয়তা বিপুল। এহেন অভিনেতার ২০০৯ সালেই জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন পেলেন না?
সম্প্রতি স্বনামধন্য দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সিবি মালয়িল ফাঁস করেন সেই ঘটনা। পিটিকে মুহম্মদকে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে সাহিত্য অ্যাকাডেমিতে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল, সেখানে তিনি জানান, ২০০৯ সালে মোহনলালকে বাদ দিয়ে শাহরুখ খানের নাম প্রস্তাব করেন কমিটির চেয়ারম্যান। তাঁর নির্দেশ ছিল, “শাহরুখ সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতলে জাতীয় পুরস্কার বিতরণীর অনুষ্ঠান আরও জমজমাট হবে। তা না করে কেন মোহনলালকে দেওয়া হবে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড?” সিবি মালয়িল দক্ষিণী ছবি ‘পরদেশি’ ছবির জন্য মোহনলালকে পুরস্কার দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জুড়ি মেম্বারদের রায়ে ওই ছবি শুধুমাত্র সেরা মেকআপ ক্যাটাগরিতেই পুরস্কার পায়। কিন্তু তিনি মোহনলালের হয়ে ওকালতি করেছিলেন। তবে সেইবছর শাহরুখ খানও জাতীয় পুরস্কার পাননি। বরং ‘পা’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য অমিতাভ বচ্চন পুরস্কার পান।
[আরও পড়ুন: ছেলে জেহর বায়নাক্কা শুনেই জোর ধমক সইফের! বাবার বকুনি খেয়ে কেঁদে ভাসাল তৈমুরের ভাই]
পরিচালক সিবি মালয়িলের দাবি, অন্যদিকে, দক্ষিণী গায়িকা সুজাতাকে সরিয়ে শ্রেয়া ঘোষালকে সেরা গায়িকার পুরস্কার দেওয়া হয় ‘জব উই মেট’ ছবির জন্য। তিন দশকের উপর ফিল্মি কেরিয়ারে শাহরুখ খান দেশ-বিদেশের অজস্র সম্মানে ভূষিত হলেও আজও তাঁর জাতীয় পুরস্কার অধরাই রয়েছে।