সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিপর্যস্ত গোটা ভারত। বেড, অক্সিজেন, ওষুধের আকাল।পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিনের জোগান না থাকা।ইতিমধ্যে কেন্দ্রের কাছে বারংবার ভ্যাকসিন চেয়ে দরবারও করেছে রাজ্যগুলি। এই অবস্থায় কেন্দ্রকে স্বস্তি দিয়ে বড়সড় ঘোষণা করল পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। কেন্দ্রীয় সরকারকে সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে সংস্থাটি ১০ কোটি কোভিশিল্ডের টিকা তৈরি ও সরবরাহ করতে পারবে। রবিবার একথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) একটি চিঠিও লিখেছে আদর পুনাওয়ালার সংস্থাটি।
চিঠিতে সেরামের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, অতিমারীর কারণে সংস্থার সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তা সত্ত্বেও কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা দিনরাত এক করে কাজ করছেন। চিঠিতে সেরামের পক্ষ থেকে সেরামের অধিকর্তা প্রকাশ কুমার সিং বলেছেন, “জুন মাসের মধ্যে কোভিশিল্ডের নয় থেকে দশ কোটি ডোজ উত্পাদন আর সরবরাহ করতে পারবে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। যেখানে মে মাসে সংস্থাটি সাড়ে ৬ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ উত্পাদন করেছিল।” সংস্থার পক্ষ থেকে কোভিড ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা বাড়ানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনে দেশকে আত্মনির্ভর করার যে চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকার করেছে তাকেও স্বাগত জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসক, করোনা রোগীদের মনোবল বাড়াতে PPE কিট পরে হাসপাতালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী]
এর পাশাপাশি চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “কোভিড থেকে দেশ ও বিশ্বের মানুষকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সিইও আদর পুনাওয়ালা সর্বদাই সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করবে সেরাম।” মে মাসের শুরুতেই সেরাম জানিয়েছিল, জুনে সাড়ে ৬ কোটি আর জুলাইয়ে ৭ কোটি আর অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১০ কোটি কোভিশিল্ড উত্পাদন করতে পারবে সংস্থাটি। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখা নতুন চিঠিতে সংস্থার পক্ষ থেকে জুনেই ১০ কোটি টিকা উৎপাদন এবং সরবরাহ করা হবে বলে জানানো হল। এখনও পর্যন্ত ভারতের করোনা টিকা হিসেবে মূলত ব্যবহার করা হচ্ছে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন। তালিকার তৃতীয় নাম রাশিয়ার স্পুটনিক ভি। কিন্তু কোভিশিল্ড সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, রাতেই আবার কেন্দ্রের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানাল, জুন মাসেই ১০ থেকে ১২ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ তৈরি করে ফেলবে সিরাম ইনস্টিটিউট। পাশাপাশি জুলাই মাস শেষ হওয়ার আগে ২০ থেকে ২৫ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ উৎপাদন করার লক্ষ্য রয়েছে কেন্দ্রের। আর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে তৈরি করতে হবে আরও ৩০ কোটি ডোজ।