সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনটা নারীর বেশি প্রয়োজন? সিথির সিঁদুর না ঋতুস্রাবের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন? প্রশ্নটি করলে মিলবে নানা উত্তর। কেউ বলবেন পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। পক্ষে হয়তো থাকবেন অধিকাংশ সচেতন নাগরিক। কারণ মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসের পাঁচ দিনের গুরত্ব বেশি বলেই মনে করেন তাঁরা। কিন্তু সাম্প্রতিক পন্য ও পরিষেবা করের (GST) ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেল না মহিলাদের এই অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রীটি।
[নৌশেরায় পাক সেনাঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে যোগ্য জবাব দিল ভারত]
মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যা প্রতি মাসেই হয়ে থাকে। এমন সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতবর্ষে তা হয় কি? সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার দাবি, এ দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলারাই স্যানিট্যারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন না ঋতুস্রাবের সময়। এ সম্পর্কে তেমন কোনও সচেতনতাই গড়ে ওঠেনি তাঁদের মধ্যে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঋতুস্রাবের কথা খোলাখুলি বলতে দ্বিধা বোধ করেন তাঁরা। কিন্তু সময় অল্প অল্প হলেও পাল্টাতে শুরু করেছে। যেখানে মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ‘প্যাডম্যান’-এর মতো সিনেমা দর্শকদের সামনে তুলে ধরছেন অক্ষয় কুমারের মতো অভিনেতারা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকেই খোলাখুলি কথা বলছেন ঋতুস্রাব নিয়ে।
[বিপাকে ‘নীরজা’, নির্মাতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পথে ভানোট পরিবার]
কিন্তু যে সামগ্রী মহিলাদের এতটা প্রয়োজনীয় তাতেই কর বসাল সরকার। জিএসটি’র আওতায় প্রায় ১২ শতাংশ কর বসছে স্যানিট্যারি ন্যাপকিনের ক্ষেত্রে। যা কিনা জিএসটি ট্যাক্স রেটের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মূল্য। যেখানে কোনও পন্য কিংবা পরিষেবার সর্বনিম্ন ট্যাক্স রেট ৫ শতাংশ। এদিকে সিঁদুর, চুড়ি কিংবা কপালের টিপের মতো প্রসাধনী সামগ্রীকে রাখা হয়েছে করমুক্ত। এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। কোনটি মহিলাদের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রসাধনের সামগ্রী, বিবাহের চিহ্ন নাকি ঋতুস্রাবের মতো জৈবিক প্রক্রিয়ার সময় স্বচ্ছতা বজায় রাখা?
[আগামী বছর বিদ্যুৎহীন থাকবে না দেশের কোনও গ্রাম, ঘোষণা মোদির]
The post সিথির সিঁদুর না স্যানিটারি ন্যাপকিন, কোনটি করমুক্ত হওয়া বেশি প্রয়োজন? appeared first on Sangbad Pratidin.