সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ডিভোর্সের কথা ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক নোবেলের স্ত্রী সালসাবেল মাহমুদ। সালসা ফেসবুকে স্পষ্ট লিখলেন, ‘আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি, ধন্যবাদ।’
তবে এখানেই শেষ নয়। সালসাবেল আরও লিখলেন, ”আমি হয়তো বা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম,কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, “নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল” এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি । ধন্যবাদ। ”
[আরও পড়ুন: কনের সাজে সাজলেন স্বস্তিকা, ‘বর কোথায়?’ ভিডিও আপলোড করে প্রশ্ন অভিনেত্রীর]
সালসার কথায়, ”আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই । নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না । এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী । অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা , রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যাবসায়ী; যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন । (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও) বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই , আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত ।”
সালসা লিখলেন, ”মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে ।”
প্রসঙ্গত, মদ্যপ অবস্থায় স্টেজে উঠে গান গাওয়ায় সম্প্রতি তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক নোবেল। আর এবার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক স্বয়ং।
ওপার বাংলার এক সংবদামাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেল জানালেন, ”স্টেজে ওঠার আগে নিজেকে রিল্যাক্সড রাখার জন্য একটু মদ্যপানের দরকার পড়ে। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান করিনি। অল্পই পান করেছিলাম। তবে এ ঘটনায় আমি অনুতপ্ত এবং দুঃখিত। হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। এরকমটা আর কখনও হবে না।”