shono
Advertisement

Breaking News

Anis Khan Murder Case: এজলাসে অনুপস্থিত বিচারপতি, আনিস হত্যাকাণ্ডে রিপোর্ট জমা দিতে পারল না SIT

বিচারপতির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আনিসের বাবা।
Posted: 04:39 PM Apr 18, 2022Updated: 04:59 PM Apr 18, 2022

গোবিন্দ রায়: ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ডে (Anis Khan Murder Case) কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্টই জমা দিতে পারল না রাজ্য সরকারের গঠিত স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT। সোমবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট আদালতে এনেছিলেন। তবে নির্ধারিত সময়ে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সে কারণেই হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ে রিপোর্ট জমা দিতে পারল না SIT।

Advertisement

বিচারপতিরা কেন নির্দিষ্ট সময়ে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত ছাত্রনেতা আনিসের বাবা। সালাম খান বলেন, “বিচারপতি অসুস্থ নাকি কোনও চাপে অনুপস্থিত? কেন এজলাসে আসেননি তিনি বুঝতে পারছি না।” তবে তাঁর আশা নিশ্চয়ই মঙ্গলবার এজলাসে আসবেন বিচারপতি। আগামিকাল আদালতে আনিস হত্যা মামলায় বিচারপতি কিছু রায় দেন কিনা, সেদিকে তাকিয়ে নিহতের বাবা। তিনি আরও একবার তদন্তকারী সিটের ভূমিকায় অনাস্থা প্রকাশ করেন। আনিস হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। দাবিপূরণ না হলে সপরিবারে দিল্লিতে গিয়ে অনশনে বসার সিদ্ধান্তের হুঁশিয়ারি আনিসের বাবার।

[আরও পড়ুন: আগামী ১০ দিনে অসমেও মমতা ম্যাজিক! ‘বড় খেলা’র ইঙ্গিত সুস্মিতা দেবের]

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমতার খাঁ পাড়ায় তল্লাশির নামে ছাত্র নেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশের পোশাক পরা এক যুবক-সহ তিনজন। তারপরই আচমকা ছাদ থেকে পড়ে আনিসের মৃত্যুর খবর মেলে। আনিসের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশই ‘খুন’ করেছে আনিসকে। এই ঘটনার তদন্তে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব আনিসের পরিবার। এই ঘটনার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার তদন্ত করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠিত SIT। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার ২। তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আনিস হত্যা নিয়ে এখনও তপ্ত রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। এরই মাঝে ছাত্রনেতা খুনের ৪২ দিন পর গত মাসের শেষের দিকে ফিরহাদ হাকিম সেই গ্রামে যাওয়ায় জনরোষ আছড়ে পড়ে। মাঝরাস্তায় তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে ফেরেন তিনি।

[আরও পড়ুন: আজান বিতর্কের জের, অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় স্থানে বাজানো যাবে না লাউডস্পিকার, নির্দেশিকা মহারাষ্ট্রের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement