সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশ্রমের সাধ্বী, শিষ্যাদের বন্ধ্যা করে তাঁদের সঙ্গে নিশ্চিন্তে সহবাস করত ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ডেরা সাচা সৌদার প্রধান ‘ধর্ষক বাবা’ গুরমিত রাম রহিম। যে চিকিৎসক আশ্রমে থাকা মহিলাদের বন্ধ্যাকরণের অপারেশন করেছিল এবার সেই মহিন্দর পাল সিংকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
[ভারতকে দেশীয় অস্ত্রে লড়তে হবে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সওয়াল সেনাপ্রধানের]
হরিয়ানায় সিরসা আশ্রমে প্রতি রাতে রাম রহিমের ঘরে আসতে বাধ্য হতেন তরুণী থেকে মাঝবয়সের শিষ্যারা। বেশিরভাগকেই জোর করে কিংবা বন্দুকের ভয় দেখিয়ে যৌনমিলনে লিপ্ত হত স্বঘোষিত ধর্মগুরু। সুনারিয়া জেলে বন্দি রাম রহিমের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ডাক্তার মহিন্দরকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। বেআইনিভাবে মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরণের অপারেশন ও গর্ভপাত করানো ছাড়াও তার বিরুদ্ধে গত ২৫ আগস্ট সিরসা ও পাঁচকুলায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ছিল। অভিযোগ, রাম রহিমের যৌন লালসার শিকার হয়ে বহু শিষ্যা ও সাধ্বী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেন। তাঁদের বেআইনিভাবে গর্ভপাত করাত এই মহিন্দর। একইসঙ্গে একাধিকবার গর্ভপাত করানোর পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঝামেলা এড়াতে ওই সব মহিলাকে বন্ধ্যা করে দেওয়া হত। আর এই সবকিছুই হত সিরসায় ডেরা সাচার আশ্রমের ভিতরে থাকা হাসপাতালে।
[ভারতের দাবিকে স্বীকৃতি সৌদির, একাই জলপথে হজে যেতে পারবেন মহিলারা]
শুধু মহিলা নয়, আশ্রমে থাকা পুরুষ ভক্তদেরও পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়া, অপারেশন করে যৌন ক্ষমতাহীন করার অভিযোগ ছিল মহিন্দরের বিরুদ্ধে। আশ্রম সূত্রে খবর, আশ্রমে থাকা সব মহিলাকে একা ভোগ করতে চাইত রাম রহিম। তাই অন্য পুরুষরা যাতে কোনও নারী ভক্তের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে না পারে তার জন্য পুরুষ ভক্তদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হত। হরিয়ানা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল মহিন্দরকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করে। দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ মামলার রায় রাম রহিমের বিরুদ্ধে যাওয়ার পর আগস্টে হরিয়ানার পাঁচকুলায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ছিল গুরমিতের পালিতা কন্যা ওরফে ঘনিষ্ঠ সঙ্গিনী হানিপ্রীত ও তার সাত অনুরাগীর বিরুদ্ধে। এই সাতজনের মধ্যে ছিল চিকিৎসক মহিন্দরও। পু্লিশ জানিয়েছে, ডেরা সাচার অনুগামীদের কয়েক লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে হানিপ্রীত ও মহিন্দর পাঁচকুলা জুড়ে হিংসা ছড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কীভাবে কখন হামলা চালিয়ে রাম রহিমকে আদালত থেকে নিয়ে পালাতে হবে, ১৭ আগস্ট সেই ছক কষেছিল হানিপ্রীতরা। তাদের উসকানিতেই সিরসা ও পাঁচকুলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে রাম রহিম ভক্তদের। সংঘর্ষে নিহত হন ৪১ জন। উল্লেখ্য, হানিপ্রীতকে নিজের পালিতা কন্যা বলে দাবি করলেও তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল লম্পট গুরু রাম রহিমের। জেরায় চিকিৎসক মহিন্দর জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে নাবালিকাদেরও বন্ধ্যাত্ব করতে বাধ্য করা হয়েছে। ওই সমস্ত মেয়েদের সবার প্রথমে গুরমিতের ঘরেই পাঠানো হত। সেখানে মাসের পর মাস থাকত নাবালিকারা।
[২৬ জানুয়ারি অক্ষরধাম মন্দিরে হামলার ছক ফাঁস, চূড়ান্ত সতর্কতা]
The post এর কল্যাণেই শিষ্যাদের সঙ্গে সহবাস করত ধর্ষক রাম রহিম, গ্রেপ্তার চিকিৎসক appeared first on Sangbad Pratidin.