সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরির আশায় রাস্তায় কাটিয়েছেন ১৪ মাস। তার পরেও মেলেনি নিয়োগ। আদালতের দরজায় ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত তাঁরা। এবার নিয়োগের দাবিতে সরাসরি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) বাসভবনে হাজির কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আর্জি, “আইনি জটে নিয়োগ আটকে। উনি তো ভগবান। আমাদের পথ দেখান।” চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি মেনে ৪ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখাও করলেন বিচারপতি। শুনলেন তাঁদের সমস্যা। শেষে বিচারপতির পরামর্শ, “হাল ছাড়বেন না। লড়াই করুন। লিগাল এইডের পরামর্শ নিন।”
বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই সল্টলেকে বিচারপতির বাড়ির সামনে উপস্থিত হন ২০১৬ সালের এসএলএসটি-র (SLST) চাকরিপ্রার্থীরা। হাতে ছিল ব্যানার। তাতে লেখা ‘উনি ভগবান’, ‘আমাদের উদ্ধার করুন’। বাড়ির সামনে হাত জোড় করে বসে নিয়োগের আর্জি জানাতে থাকেন। একাধিক চাকরিপ্রার্থী হাউহাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। প্রথমে তাঁদের আটকে দেয় বিচারপতির বাড়ির সামনের পুলিশবাহিনী। চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বিচারপতি অনুমতি দিলে তাঁদের দুজন প্রতিনিধি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। এর পর দেখা যায় বিচারপতি নিজেই বাড়ির নিচে নেমে আসেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘসময় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
[আরও পড়ুন: সাইবার প্রতারণা রুখতে নয়া দাওয়াই, মোবাইলের IMEI নম্বর বন্ধ করবে লালবাজার]
প্রথমে ফোন করে চাকরিপ্রার্থীদের মূল সমস্যা জেনে নেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি জানতে পারেন, সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা আটকে রয়েছে। এর পরই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি। তাঁদের গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন। বিচারপতির পরামর্শ, “এখনই হাল ছাড়বেন না। এত ভেঙে পড়বেন না। আইনজীবীদের পরামর্শ নিন।” চাকরিপ্রার্থীরা পালটা জানান, তাঁদের কাছে টাকা নেই। এর পরই হাই কোর্টের আইনি সহায়তা কেন্দ্রের যাওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “চাকরি পাবেন কি না, তা আমি বলতে পারব না।” তবে বিচারপতির প্রশ্ন, “যাঁরা রাস্তায় বসে আছেন, তাঁরা কেন বসে আছেন? চাকরি পাবেন কি না তা রাজ্যকে জিজ্ঞেস করুন। আমার কাছে কেন এসেছেন?”
[আরও পড়ুন: জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় ত্রুটি, সমস্ত স্তরের কর্মীকে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ সিপিএমের]