সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের আঁধারে ডুবে থাকা দিল্লির (Dellhi) জন্য আশীর্বাদের বৃষ্টি। শুক্রবার সাতসকালে হালকা বৃষ্টিতে ভিজল রাজধানী। বৃষ্টি হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতেও। আর তাতেই সামান্য উন্নতি হল আবহাওয়ার। দিওয়ালির আগে যা দিল্লিবাসীর জন্য বিরাট স্বস্তির খবর।
গত কয়েক সপ্তাহ যাবত দিল্লির আকাশে বাতাসে রীতিমতো বিষ ছড়িয়ে। বাতাসের গুণগত মান কখনও থাকছে ৪৫০ তো, কখনও আরও খারাপ হয়ে ৫০০ মাত্রায়। এই অবস্থায় রুষ্ট প্রকৃতিকে ‘শান্ত’ করতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। পরিস্থিতি একই থাকলে আগামী ২০-২১ নভেম্বরের মধ্যে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের (Artificial Rain) পরিকল্পনা ছিল। তবে সেটার প্রয়োজন অনেকটাই কমিয়ে দিল শুক্রবারের অকাল বৃষ্টি।
[আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিমানহানায় মৃত ৯, এবার সম্মুখ সমরে ইরান-আমেরিকা?]
এদিন সকালে রাজধানীতে হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঘন কুয়াশার যে চাঁদর রাজধানীর আকাশ-বাতাস ঢেকে ফেলেছিল, সেটা অনেকাংশে মিলিয়ে গিয়েছে। এদিন সকালে রাজধানীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাতাসের গুণগত মান ৪০০-র আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শুক্রবার দিনভর আরও বৃষ্টি হবে। যার ফলে আবহাওয়ার আরও উন্নতি হতে পারে। যা দিল্লিবাসীর জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর। দিওয়ালির আগে আবহাওয়া খানিকটা পরিষ্কার হলে, নিশ্চিন্তে আলোর উৎসবে মাতোয়ারা হতে পারবে রাজধানী।
[আরও পড়ুন: ‘সব ভুলে এগিয়ে চলো’, রাহুলের উপদেশে দ্বন্দ্ব ভুলেছেন শচীন]
এদিকে দিল্লির এই দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লির বাতাসে দূষণের ৯৩ শতাংশের জন্য দায়ী পাঞ্জাবের কৃষকদের পোড়ানো ফসল। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব সরকারকে কড়া হাতে ফসল পোড়ানো দমন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। এদিকে দূষণ রোধে দিল্লি সরকার যে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি চালু করেছে, সেটা আজ খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট।