সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকাই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন সুষমা স্বরাজ৷ তাঁর মৃত্যুর পর থেকে টুইটে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজনীতিকরা৷ কিন্তু তার মাঝে একেবারে আলাদা স্মৃতি ইরানি৷ সুষমা প্রতিশ্রুতিপূরণ না করার স্মৃতি তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ বিদায়বেলায় অভিমানের সুর তাঁর গলায়৷
[আরও পড়ুন: পরিবারের অমতে বিয়ে, ৪৪ বছর পর সুষমাকে হারিয়ে নিঃসঙ্গ স্বামী]
একই দলের কর্মী৷ বহুদিন একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা৷ সুষমার সঙ্গে কবে যে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন বুঝতে পারেননি স্মৃতি ইরানি৷ অভিজ্ঞ রাজনীতিককে ‘দিদি’ বলে ডাকতেন৷ প্রকৃত অর্থে যেন দিদি-বোনের সম্পর্কই হয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের৷ রাজনৈতিক সম্পর্ক গণ্ডি পেরিয়ে প্রবেশ করেছিল ব্যক্তিজীবনেও৷ ব্যস্ত জীবনে কিছুটা সময় বাঁচাতে পারলেই ছুটে যেতেন ‘দিদি’র বাড়ি৷ সেখানেই চলত আড্ডা-গল্পগুজব৷ মঙ্গলবার রাতে আচমকাই মারা যান সুষমা৷ মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকে কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না স্মৃতি৷ টুইটে যখন সকলেই শোকজ্ঞাপনে ব্যস্ত, তখন স্মৃতি ভাগ করলেন ‘দিদি’র সঙ্গে কাটানো ভাল সময়ের কথা৷ টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘আমার তোমার সঙ্গে বোঝাপড়া বাকি রইল৷ তুমি বাঁশুড়িকে বলেছিলে একটি ভাল রেস্তরাঁ খুঁজতে৷ যেখানে আমাকে নিয়ে যাবে৷ কিন্তু সেকথা রাখতে পারলে না৷’’
সুষমাকে বড় ‘দিদি’র মতো মানতেন নোবেলজয়ী সমাজসেবী কৈলাস সত্যার্থী৷ দিল্লিতে বাসভভবনে প্রয়াত প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি৷ ‘দিদি’র মরদেহে মালা দিয়ে আজ বড়ই মনে পড়ছে সেই স্মৃতিমেদুর মুহূর্তগুলির কথা৷ বারবার মনে পড়ছে ১৯৮১ সালে আম্বালার জনসভার কথা৷ ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? আম্বালার জনসভায় ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন কৈলাস সত্যার্থী৷ জনসভায় জাতীয় সংগীত গাওয়ার ইচ্ছা ছিল খুদের৷ কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাইক্রোফোন৷ কারণ তার উচ্চতার সঙ্গে সমতা ছিল না তাতে৷ দর্শকাসনে বসা সুষমা দৌড়ে যান৷ শিশুকে কোলে তুলে নেন তিনি৷ খুদের সুরে সুর মিলিয়ে গানও করেন অসামান্য রাজনীতিক৷
[আরও পড়ুন: ‘আগামিকাল ১ টাকা নিয়ে যাবেন’, শেষ ফোনে হরিশ সালভেকে বলেন সুষমা]
রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে সুষমা হয়ে উঠেছিলেন প্রকৃত জননেত্রী৷ তাঁর মৃত্যুতে তাই চোখের জল বাঁধ মানছে না কারও৷
The post কথা রাখলেন না ‘দিদি’, সুষমার মৃত্যুতে অভিমানী স্মৃতি appeared first on Sangbad Pratidin.