অর্ণব আইচ: চুনাপাথরের আড়ালে বেআইনি সুপুরি আমদানি! প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার সুপুরি মালয়শিয়া থেকে আমদানি করার অভিযোগ উঠেছে এক ক্লিয়ারিং এজেন্টের বিরুদ্ধে। রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক দপ্তর।
এই ঘটনায় শুল্ক দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ দে। কয়েক মাস আগে মালয়শিয়া থেকে একটি কন্টেনার কলকাতায় আসে। নথিতে দেখানো হয় , তার ভিতর রয়েছে চুনাপাথর। সেই নথি দেখে শুল্ক দপ্তরের সন্দেহ হয়। তার পর গোয়েন্দারা কন্টেনার পরীক্ষা করতে গিয়েই দেখেন, তাতে সামান্য চুনাপাথর রয়েছে। কিন্তু ভর্তি রয়েছে সুপুরি।
[আরও পড়ুন: আশ্রম না ছাড়লে খুন করার হুমকি! জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ভবনে তাণ্ডব দুষ্কতীদের]
শুল্ক দপ্তরের গোয়েন্দাদের দাবি, সুপুরি আমদানি করতে গলে ১১০ শতাংশ কর দিতে হয়। সেখানে চুনাপাথরের মতো বস্তুর ক্ষেত্রে করের পরিমাণ অনেকটাই কম। তাই বিভিন্ন বস্তু বা চুনাপাথরের আড়ালে নিয়ে আসা হচ্ছে সুপুরি। বেআইনিভাবে সুপুরি আমদানি করে বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত করে প্রথমে শুল্ক দপ্তরের গোয়েন্দারা অমতি অগ্রহারি ও শামিম আখতার নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।
ওই দুজনকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, এই বেআইনি কাজের পিছনে রয়েছেন এক শুল্ক ক্লিয়ারিং এজেন্ট। মালয়শিয়া থেকে আসা ওই কন্টেনারে চুনাপাথর রয়েছে বলে তিনিই নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন। ভুয়ো নথিও তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই দুজনের সূত্র ধরে এদিন ওই বিশ্বজিৎ দেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে শুল্ক দপ্তর।