জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Elections) ফলপ্রকাশের পর থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এবার বনগাঁর বিজেপিতে বডসড় ভাঙ্গন। বৃহস্পতিবার বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যা-সহ শতাধিক কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় নিজেদের শক্তিবৃদ্ধিতে খুশি তৃণমূল শিবির।
বিধানসভা ভোটের আগে ভাঙন শুরু হয়েছিল তৃণমূল (TMC) শিবিরে। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), সুনীল মণ্ডল থেকে শুরু করে একের পর এক তাবড় তাবড় নেতা দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। যদিও তা সত্ত্বেও বিপুল ভোটে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এদিকে বিজেপি যোগের কয়েকমাসের মধ্যেই তৃণমূলত্যাগীদের মোহভঙ্গ হতে শুরু করে। একে একে তৃণমূলে ফেরেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।
[আরও পড়ুন: শিশু চিকিৎসায় আরও জোর, করোনাকালে অতিরিক্ত ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর]
এবার বনগাঁর বিজেপির বহু নেতা-কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার গোপালনগর অঞ্চল তৃণমূলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল বিজয়া সম্মেলনীর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আলোরানী সরকার, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানেই বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা শম্পা বিশ্বাস-সহ বহু বিজেপি কর্মীর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন আলোরানীদেবী।
তৃণমূলে যোগদানের পর শম্পাদেবী বলেন, “বিজেপির মধ্যে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নিজের মতো করে কাজ করার পরিবেশই নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে তৃণমূলে যোগদান করলাম।” আলোরানী সরকার বলেন, “এক পঞ্চায়েত সদস্যা-সহ শতাধিক কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন তৃণমূলে৷”