shono
Advertisement

কেপিসি হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে ফাটল নিরাপত্তারক্ষীর মাথা, ভাঙল শববাহী গাড়ি-অ্যাম্বুল্যান্স

যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
Posted: 05:09 PM May 19, 2021Updated: 05:13 PM May 19, 2021

অভিরূপ দাস: করোনা কালে রাতের শহরে কেপিসি হাসপাতালে (KPC Medical College & Hospital) দুষ্কৃতী তাণ্ডব। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক মারধর করে। মাথাও ফেটে যায় তাঁর। এছাড়াও দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স এবং একটি শববাহী গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।

Advertisement

হাসপাতালের সুপার অরবিন্দ রায় জানান, মঙ্গলবার রাতে ১০-১২ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হাসপাতালের সামনে আসে। হাসপাতালের বাইরে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স এবং শববাহী গাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে তারা। তাতেই বাধা দেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী। অভিযোগ, বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধেরে। বেধড়ক মারধর করে। ফাটিয়ে দেয় তাঁর মাথা। এই ঘটনার পরই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টার শুনানিতেও স্বস্তি নেই, নারদ কাণ্ডে ধৃত ৪ জনকে আজও হেফাজতেই থাকতে হবে]

ঠিক কী কারণে দুষ্কৃতী তাণ্ডব? হাসপাতাল সুপার মনে করছেন এই ঘটনার সঙ্গে দিনকয়েক আগে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে ওঠা অক্সিজেন ফ্লোমিটার (Oxygen Flowmeter) নিয়ে কালোবাজারির যোগসূত্র রয়েছে। সেই সময় অভিযোগ ওঠে বেশ কয়েকজন অ্যাম্বুল্যান্স চালক বেশি দামে রোগীর পরবারকে অক্সিজেন ফ্লোমিটার বিক্রি করার চেষ্টা করছে। তাতে বাধাও দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কালোবাজারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে হাসপাতালের নিজস্ব ছাড়া অন্য অ্যাম্বুল্যান্স বর্তমানে কেপিসির বাইরে দাঁড়াতেও দেওয়া হয় না। আর সেই আক্রোশেই রাতের অন্ধকারে অ্যাম্বুল্যান্স এবং শববাহী গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর বলেই দাবি হাসপাতাল সুপারের। যদিও এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। গ্রেপ্তারির পরই ভাঙচুরের কারণ স্পষ্ট হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দু-মুকুলদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের অনুমতি মেলেনি, নারদ মামলায় সাফাই CBI-এর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement