সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নিশানায় বিচারপতিদের একাংশ। ‘তল্পিবাহক’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। তাঁর মন্তব্যকে ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। বিরোধিতায় সরব রাজনৈতিক মহল।
হলদিয়ায় (Haldia) শ্রমিক সমাবেশের মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার বলতে লজ্জা লাগে বিচারব্যবস্থায় ১-২ জন এমন আছেন, যাঁরা সম্পূর্ণ যোগসাজশে তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছেন। ১ শতাংশ হবে। কিছু হলেই সিবিআই (CBI) দিচ্ছে। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিচ্ছে। শুনেছেন কোনওদিন? আদালত নিরাপত্তা দিতে পারে। অধিকার আছে। তা বলে স্থগিতাদেশ? আপনার যদি মনে হয় সত্যি কথা বলার জন্য ব্যবস্থা নেবেন তো নিতে পারেন। আমার তাতে কিছু যায় আসে না। ক্যামেরার সামনে সত্যি কথা ২ হাজার বার বলব। ১০ হাজার বার বলব। সত্যি বলতে আমার বিবেকে বাধে না।”
[আরও পড়ুন: ‘আমি নেই, ৪০% ভোট পেয়ে দেখান’, বাংলা ছাড়ার আগে সুকান্ত-শুভেন্দুদের চ্যালেঞ্জ দিলীপের]
অভিষেকের এই মন্তব্যকে বেনজির আক্রমণ হিসাবেই দেখছেন অনেকেই। তৃণমূল নেতার মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব রাজনৈতিক মহল। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পাচ্ছেন অভিষেক। তাই এসব বলছেন।” কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও তীব্র নিন্দা করেন। তাঁর কথায়, “পক্ষে রায় হলে বিচারব্যবস্থা ভাল। আবার বিপক্ষে রায় হলে ভাল না। সব কিছুকে অবজ্ঞা করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। বুদ্ধিলোপ পাচ্ছে ওদের।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বগটুই কাণ্ড (Bagtui Incident) থেকে এসএসসি দুর্নীতি মামলা আবার আনিস হত্যাকাণ্ড – প্রায় প্রত্যেকটি ঘটনারই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। বগটুই কাণ্ড এবং এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই (Abhijit Gangopadhyay) যেন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ‘নায়ক’ হয়ে উঠেছেন। তাঁর নির্দেশেই চাকরি পর্যন্ত হারাতে হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে। একের পর এক ঘটনায় রাজ্য সরকার বেশ ব্যাকফুটে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের বিচারব্যবস্থার প্রতি আক্রমণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।