অর্ণব আইচ: করোনার (Covid-19) একের পর এক ঢেউয়ে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। চাকরি নেই। অনেকেই আবার কাজ খুইয়ে ঘরে বসে। এই পরিস্থিতিতেই সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটল। তাও আবার শহর কলকাতায় (Kolkata)। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোট আট লক্ষ টাকার জালিয়াতি করা হয়েছে। মধ্য কলকাতার বউবাজারের বাসিন্দা চাকরিপ্রার্থী এক তরুণীর হাতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিল জালিয়াতরা। এই ব্যাপারে বউবাজার থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই তরুণী একা নন, এভাবে ওই এলাকার আরও কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে থেকেই বো-ব্যারাক ও তার আশপাশের এলাকার তরুণ ও তরুণীদের সঙ্গে আলাপ জমায় জালিয়াতরা। তাঁদের কাছে গিয়ে ওই জালিয়াত চক্রের এক মাথা নিজেকে PHE দপ্তরের সরকারি ঠিকাদার বলে পরিচয় দেয়। ওই ব্যক্তি জানায়, সে যে সরকারি কর্তাদের সঙ্গে ওঠাবসা করে, তাঁরা চাকরি দিতে পারেন। তার পাতা ফাঁদে পা দেন এক তরুণী। তিনি টাকা দিয়ে চাকরি পেতে রাজি হয়ে যান। তাঁর কাছ থেকে বেশ কয়েক দফায় নগদ ও অনলাইনে আট লক্ষ টাকা নেয় ওই ‘ঠিকাদার’। সম্প্রতি একটি নিয়োগপত্রও তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়। কিন্তু তিনি ওই নিয়োগপত্রটি নিয়ে চাকরিতে যোগ দিয়ে গিয়ে দেখেন যে, সেটি ভুয়ো।
[আরও পড়ুন: মিলল অনুমোদন, শুক্রবার থেকেই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে পারবেন ব্যাংক কর্মীরা]
এরপর থেকেই ওই ‘ঠিকাদার’-এর মোবাইল ফোন বন্ধ। পরবর্তীতে ওই তরুণী বুঝতে পারেন, যে তিনি জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। এরপরই তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ আধিকারিকরা। শুরু হয় তদন্ত। পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি ছাড়াও চক্রে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যিই সরকারি ঠিকাদার কি না, তা জানারও চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।