সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোর গলায় তিনি দাবি করছেন তাঁর রাজ্যের হাসপাতালে অক্সিজেনের (Oxygen) কোনও কমতি নেই। কিন্তু সেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) উত্তরপ্রদেশের বাস্তবের ছবিটা যে মোটেও তা নয় বার বার তা প্রকাশ্যে আসছে। এবার রোগী আর তাঁর আত্মীয়দের অক্সিজেন সমস্যার সমাধান বাতলে দিলেন প্রয়াগরাজের কিছু পুলিশ কর্মী। তাদের নিদান রোগীকে নিয়ে অশ্বত্থ গাছের তলায় বসলেই রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে।
অক্সিজেনের খোঁজে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন রোগী আর তাঁর আত্মীয়রা। এমনই এক রোগীর আত্মীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘তাঁদের বলা হচ্ছে বাড়িতে থাকুন, হাসপাতালে ভিড় করে লাভ নেই। কিন্তু রোগীদের যদি অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তবে তাঁরা কী করবেন?’
এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, হাজার হাজার রোগীর সঙ্গেই এমন ঘটছে। প্রয়াগরাজের বিজেপি বিধায়ক হর্ষবর্ধন বাজপেয়ির অক্সিজেনের প্লান্ট যা এখন উত্তর প্রদেশ সরকার অধিগ্রহণ করেছে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে লম্বা লাইন। ভিড় সামলাতে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ফলে সাধারণ রোগী সেখানে হত্যে দিয়ে পড়ে থেকেও অক্সিজেন পাচ্ছেন না।
[আরও পড়ুন: ভোট শেষে আশার বাণী, দক্ষিণবঙ্গের কালবৈশাখীতে স্বস্তি পেতে পারেন শহরবাসী]
এই অক্সিজেন প্লান্টের বাইরে অপেক্ষারত মানুষ বার বার আবেদন করেও অক্সিজেন পাচ্ছেন না। তেমনই এক ব্যক্তি বলেন, “মায়ের জন্য অক্সিজেন চাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের সেখানে ঢুকতেই দিচ্ছে না। প্রয়াগরাজ থেকে লখনউ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছি, অ্যাপোলো, মেদান্তের মতো জায়গায়াতেও মাকে ভরতি নেয়নি। কোথায় যাব আমরা?” আর এক রোগীও একই প্রশ্ন করেন এক পুলিশ কর্মীকে। তিনি উত্তর পান, মাকে নিয়ে অশ্বত্থ গাছের তলায় বসুন, অক্সিজেন পাবেন। তবে এমন উত্তর ওই এক জনকে নয়, পুলিশ এই উপদেশ অনেককেই দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বীরভূমে, বোমা বাঁধতে হাত উড়ল এক ব্যক্তির]
গত সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে পিএম কেয়ারসের টাকায় অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হবে। যোগী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যেই এই ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির যে বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি তা এই ঘটনাগুলি প্রতি মুহূর্তে চোখে আঙুল দিয়ে সেটাই দেখিয়ে দিচ্ছে।