দীপঙ্কর মণ্ডল: আসন্ন সমাবর্তন ঘিরে ফের অশান্তির সিঁদুরে মেঘ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাবর্তন মঞ্চে আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের হাত থেকে শংসাপত্র নেবেন না বলে ঘোষণা করে দিলেন একদল পড়ুয়া। যার প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠান নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছায়া ফেলেছে বিভিন্ন মহলে।
পাঁচ বছর আগে উপাচার্যকে সরানোর দাবিতে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ‘হোক কলরব’-এর অঙ্গ হিসাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তৎকালীন রাজ্যপাল তথা আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে শংসাপত্র নিতে অস্বীকার করেছিলেন এক ছাত্রী। চলতি বছরে একই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে। একটি অনুষ্ঠান শেষে ক্যাম্পাস থেকে বেরনোর সময় ছাত্রছাত্রীদের হাতে ঘেরাও হন বাবুল। পরে রাজ্যপাল নিজে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
তারপর বিভিন্ন ইস্যুতে নবান্ন-রাজভবন বিবাদ উত্তরোত্তর বেড়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুরের সমাবর্তন। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যাবেন। শুক্রবার ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যপাল ক্যাম্পাসে এলে তাঁরা কালো পতাকা দেখাবেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটও সমাবর্তন বয়কটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের যাদবপুর ইউনিটের সভাপতি সঞ্জীব প্রামাণিক জানিয়েছেন, “রাজ্যপাল বিজেপির ভাষায় কথা বলেন। তাই আমরা চাই না এমন কেউ সমাবর্তনে আসুন।” উপাচার্যকে এই দাবিতে স্মারকলিপিও দিয়েছে টিএমসিপি।
[আরও পড়ুন: ‘উদাহরণ হিসাবে রাষ্ট্রসংঘের উল্লেখ করেছি’, গণভোট প্রসঙ্গে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মমতা]
অন্যদিকে, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে। সেই গ্রুপে সমাবর্তনে রাজ্যপালকে কীভাবে ‘অসম্মান’ করা হবে তা নিয়ে চর্চা চলছে। কর্তৃপক্ষের এখন ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অবস্থা। পড়ুয়াদের একটি অংশ রাজ্যপালকে চাইছে না। অন্যদিকে তিনিই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। রাজ্যপালকে সমাবর্তনে ডাকাই দস্তুর। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠকে বসছে। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয় তার জন্য অপেক্ষা করছে বিভিন্ন মহল।
The post আচার্য ধনকড়কে বয়কটের সিদ্ধান্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অশান্তির আশঙ্কা appeared first on Sangbad Pratidin.