অভিরূপ দাস: আর পাঁচটা অফিসের মতো মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি। পয়লা মে-র আগেই শ্রমিকের মর্যাদা চেয়ে পথে নামছে সোনাগাছির দেহ ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, দেহ বেচে যাঁরা খায় তাঁরাও শ্রমিক।
শুক্রবার দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ এপ্রিল বিকেল চারটে থেকে একটি জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। শহরের দেহ ব্যবসায়ীরা সেখানে হাজির থাকবেন। সোনাগাছির (Sonagachi) জমায়েত থেকেই নিজেদের দাবি জানাবেন যৌনকর্মীরা। দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সম্পাদক বিশাখা লস্কর জানিয়েছেন, আর পাঁচটা ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মতো দেহ ব্যবসায়ীরাও শ্রমিক। কিন্তু তাঁরা শ্রমিকদের মর্যাদা পান না।
[আরও পড়ুন: এবার নেতাদের বাড়িতে ঢুকতেও সেনা নামাতে হবে! সন্দেশখালি কাণ্ডে তীব্র খোঁচা দিলীপের]
বিশাখাদেবীর বক্তব্য, "রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে সব দেহ ব্যবসায়ীদের শ্রমিকের মর্যাদা দিতে হবে।" এই মুহূর্তে শহরের যৌনকর্মীরা যে সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তাদের কোনও সরকারী স্বীকৃতি নেই। নেই রেজিস্ট্রেশন নম্বর। নিজেদের শ্রমিক সংগঠনের জন্য সরকারী রেজিস্ট্রেশন নম্বরের দাবি রেখেছেন দেহ ব্যবসায়ীরা। এবছর ১ মে তে সোনাগাছির স্লোগান, "গতর খাটিয়ে খাই। শ্রমিকের অধিকার চাই।"
[আরও পড়ুন: পরিচিতর ডাকে সাড়া, পার্ক স্ট্রিটের নামী হোটেলে গিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ব্যবসায়ীর]
কী,কী দাবি নিয়ে ৩০ এপ্রিল পথে নামবেন তাঁরা? বিশাখা লস্করের কথায়, আর পাঁচজনের মতো রেশন কার্ড, ভোটার কার্ডে যৌনকর্মীদের বাড়ির ঠিকানা দিতে বাধ্য করা যাবে না। তাঁদেরকে ঠিকানা গোপন রাখার অনুমতি দিতে হবে। কাস্টমার আর যৌনকর্মীর মধ্যে সম্মতির সহবাস হলে তাতে পুলিশ নাক গলাতে পারবে না। ২০২২ সালের ১৯ মে সুপ্রিম কোর্ট দেহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি রায় দেয়। সেখানে বলা হয়েছিল, স্বেচ্ছায় কেউ দেহ ব্যবসায় যুক্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। দেহ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিলেও তা কার্যকর করা হচ্ছে না। অবিলম্বে তা কার্যকর করতে হবে।