সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচালক রাম মাধবানি যখন বিমানকর্মী নীরজা ভানটকে নিয়ে তাঁর বায়োপিক বানাচ্ছিলেন, সেই সময়েই মুখে মুখে রটে গিয়েছিল একটা কথা- সোনম কাপুরকে না কি হুবহু প্রয়াত নীরজ ভানটের মতো দেখতে! সেটা অতিশয়োক্তি সন্দেহ নেই! তবে হুবহু না হলেও কিছু মিল যে তাঁদের চেহারায় আছেই, সেটা অস্বীকার করবেন না কেউ! এমনকী, প্রয়াত নীরজা ভানটের মা পর্যন্ত বলেছিলেন সংবাদমাধ্যমকে, তিনি সোনমের মধ্যে নিজের মৃতা মেয়েকে ফিরে পেয়েছেন। সেটা যে নিছক এক বিবৃতি ছিল না, তার প্রমাণ মিলল এতদিনে।
সম্প্রতি নীরজা ভানটের নামে ঘোষণা করা হয়েছে এক বিশেষ মরণোত্তর পুরস্কার। ১৯৮৬ সালে প্যান অ্যাম-এর এই বিমানকর্মী যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের বোকা বানিয়ে অন্যের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন, তার জন্য। মাদার টেরেসা মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর সোশ্যাল জাস্টিস-এর জন্য তাই এ বছর বেছে নেওয়া হয়েছিল নীরজা ভানটের নাম। সেই পুরস্কার নিতে রাজিও হয়ে যান নীরজার পরিবার। শুধু একটি শর্তে! “সোনম আমার মেয়ের হয়ে পুরস্কার নেবে”, জানিয়েছিলেন নীরজার মা রমা ভানট!
সোনমের কোনও আপত্তি ছিল না। ছবির শুটিং করার সময়েই তিনি বার বার বলেছিলেন, ভানট পরিবার তাঁকে আপন করে নিয়েছে। ওঁদের সঙ্গে দেখা হলে নিজের বাড়িতে রয়েছেন বলেই মনে হয় নায়িকার। তাই নীরজার দুই ভাই অনীশ আর অখিলকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন সোনম। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লার হাত থেকে গ্রহণ করেন এই বিশেষ মরণোত্তর পুরস্কার। জানান, তিনি নীরজার হয়ে এই পুরস্কার নিতে পেরে গর্বিত! “কেন না যাঁরাই জীবনে অন্যরকম, যাঁরাই জীবনকে ছাপিয়ে যেতে চান, নীরজা তাঁদের সবার কাছে এক উদাহরণ!”
এখানেই শেষ নয়! সোনম আরও জানিয়েছেন, জীবনকে পূর্ণ ভাবে উপভোগ করার অন্যতম পন্থাই হল অন্যের প্রতি সহানুভূতি। যা নীরজার মধ্যে পূর্ণমাত্রায় ছিল। এবং নীরজার চরিত্রে অভিনয় করতে তিনি নিজেও শিখেছেন, কী ভাবে মানুষের পাশে থাকতে হয়!
সত্যিই তো! এই যে তিনি নীরজার হয়ে পুরস্কার নিলেন, বাস্তব জীবনেও হয়ে উঠলেন ভানট পরিবারের মেয়ে, সে তো এই কথাই প্রমাণিত করল!
The post নীরজা ভানটের হয়ে বিশেষ মরণোত্তর পুরস্কার গ্রহণ করলেন সোনম appeared first on Sangbad Pratidin.